মেরি মিলার। ছবি: দ্য হিল
আমেরিকার ইলিনয়ের রিপাবলিকান প্রতিনিধি মেরি মিলার শুক্রবার (৬ই জুন) হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসে এক অতিথি ধর্মীয় নেতার প্রার্থনা নিয়ে মন্তব্য করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন।
তিনি ভুল করে শিখ ধর্মীয় ওই নেতাকে মুসলিম ভেবে এক্স প্ল্যাটফর্মে লেখেন, ‘আজ সকালে হাউসে একজন মুসলমানকে প্রার্থনা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এটি কখনোই ঘটতে দেওয়া উচিত নয়। আমেরিকা একটি খ্রিষ্টান রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং আমাদের সরকারে তা প্রতিফলিত হওয়া উচিত।’
মেরি তার বক্তব্যের সঙ্গে প্রার্থনার একটি ছবিও পোস্ট করেন। এতে দেখা যায়, হলুদ পাগড়ি পরিহিত এক ব্যক্তি হাউসে প্রার্থনা করছেন। কিন্তু পরে জানা যায়, ওই ব্যক্তি মুসলিম নন। তিনি ছিলেন নিউ জার্সির ভিনল্যান্ডের ‘গুরদ্বারা সাউথ জার্সি শিখ সোসাইটির’ ধর্মীয় নেতা জিয়ানী সুরিন্দর সিং।
তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে মেরি পরে তার পোস্টে ‘মুসলিম’ শব্দটি পরিবর্তন করে ‘শিখ’ লেখেন এবং শেষে পুরো পোস্টই মুছে ফেলেন। এ বিষয়ে তার কার্যালয় থেকেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
আজ শনিবার (৭ই জুন) আমেরিকার সংবাদমাধ্যম ‘দ্য হিল’ জানিয়েছে, হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসের ইতিহাসে বহু ধর্মের ধর্মগুরুদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এমনকি ২০০১ সালে ৯/১১ এর হামলার পর এক মুসলিম ধর্মীয় নেতাও কোরআন থেকে পাঠ করেছিলেন।
মেরি মিলারের মন্তব্যে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট উভয় পক্ষ থেকে নিন্দা এসেছে। রিপাবলিকান প্রতিনিধি ডেভিড ভ্যালাডাও বলেছেন, ‘শিখ-আমেরিকানরা আমাদের সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিন্তু তারা এখনো হয়রানি ও বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।’
নিউ ইয়র্কের রিপাবলিকান প্রতিনিধি মাইক ললার বলেছেন, ‘আমরা সবাই যেহেতু ঈশ্বরের সন্তান, তাই আমাদের পারস্পরিক ধর্মীয় পার্থক্যকে সম্মান করা উচিত।’
ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি ভেরোনিকা এস্কোবার বলেছেন, ‘আমাদের দেশ সংবিধান অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত—ধর্মীয় স্বাধীনতা যেখানে প্রথম সংশোধনীতে স্থান পেয়েছে। এ মন্তব্য শুধু বর্ণবাদী নয়, বরং আমাদের প্রতিষ্ঠানগত নীতিকেই অবমাননা করে।’
এইচ.এস/
খবরটি শেয়ার করুন