ছবি : সংগৃহীত
বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্ষায় নানা ধরনের সংক্রমণ ছড়ানোর প্রবণতা বাড়ে। এমনকি চোখের সংক্রমণও দেখা দেয়। তাই এ সময় শরীরের সবচেয়ে স্পর্শকাতর অঙ্গ চোখের দরকার বাড়তি যত্নের। চলুন জেনে নেওয়া যাক, চোখের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে যত্ন নেবেন যেভাবে-
কনজাঙ্কটিভাইটিসের সমস্যা
বর্ষার সময় চোখে কনজাঙ্কটিভাইটিসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সঙ্গে কর্নিয়াল আলসারের ঝুঁকিও বাড়ে। এই ঋতুতে চোখের সংক্রমণ দেখা দিলে সময়মতো তার চিকিৎসা না করালে অস্বস্তি ও জটিলতা বাড়তে পারে।
ব্যাকটেরিয়াল কনজাঙ্কটিভাইটিস
এ ধরনের কনজাঙ্কটিভাইটিস ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়। ফলে চোখ দিয়ে আঠালো বা পুঁজের মতো স্রাব বের হয়। একই সঙ্গে চোখ লাল হয়ে যায় ও ফোলাভাব থাকে।
অ্যালার্জিক কনজাঙ্কটিভাইটিস
ধুলাবালি বা ময়লায় অ্যালার্জেনের কারণে এই কনজাঙ্কটিভাইটিস দেখা দেয় চোখে। এর লক্ষণ হিসেবে দেখা দিতে পারে চোখের চুলকানি, লালভাব ও পানি পড়ার সমস্যা।
আরো পড়ুন : কতটা দূর থেকে টেলিভিশন দেখা উচিত?
শুষ্ক চোখ
আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এ সময় ড্রাই আইস বা শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর ফলে চোখ লাল ও দৃষ্টি ঝাপসা হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।
সানগ্লাস পরুন
বর্ষাকালে রোদের তেজ অন্যান্য সময়ের থেকে কম থাকে। অনেকেই এ সময় সানগ্লাস পরা ছেড়ে দেন, যা একেবারেই ভুল। এ সময় ধুলায় নানা ধরনের জীবাণু ঘোরাঘুরি করে। তা সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে চোখে। তাই নিয়মিত সানগ্লাস পরুন।
তোয়ালে বা রুমাল ব্যবহার করুন
আপনি কারও সঙ্গে তোয়ালে বা রুমাল শেয়ার করবেন না। অন্য কারও রুমাল ব্যবহার করাও এড়িয়ে চলতে হবে।
হাত পরিষ্কার না করে চোখে-মুখে পানি দেবেন না
যেখানে সেখানে চোখে-মুখে পানি দেবেন না। চোখে পানি দেওয়ার আগে হাত ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। একই সঙ্গে যে পানি দিচ্ছেন, তা পরিষ্কার পানি কি না তা নিশ্চিত করুন।
কন্টাক্ট লেন্স এড়িয়ে চলুন
চোখের সংক্রমণ এড়াতে কন্টাক্ট লেন্স পরার ক্ষেত্রে সেটি পরিষ্কার ও সঠিকভাবে সংরক্ষণ করছেন কি না তা নিশ্চিত করুন।
বর্ষাকালে চোখের ইনফেকশন মারাত্মক রূপও নিতে পারে। তাই সময়মতো এর চিকিৎসা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিন। তাহলে ভালো থাকবে আপনার চোখ।
সূত্র: বোল্ডস্কাই
এস/ আই.কে.জে