ছবি:সংগৃহীত
শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা করছে অস্ট্রেলিয়া। মূলত শিশুদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগের কারণে এই পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে দেশটির সরকার। তবে কত বছরের শিশুদের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১০ই সেপ্টেম্বর) এ ঘোষণা দেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ।
এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে অ্যাক্সেসের জন্য একটি নূন্যতম বয়স নির্ধারণ করার জন্য চলতি বছরেই তার লেবার সরকার একটি আইন প্রণয়ন করবে।’
আলবানিজ বলেন, ‘আমরা জানি সামাজিকমাধ্যম সামাজের ক্ষতি করছে। এটি শিশুদের বাস্তব বন্ধু ও বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে দূরে নিয়ে যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: তিন দশক পর শিশুদের দত্তক দেওয়া বন্ধ করলো চীন
তিনি আরও বলেন, ‘আমি শিশুদের মোবাইল থেকে দূরে রেখে ফুটবল মাঠ, সুইমিং পুল এবং টেনিস কোর্টে দেখতে চাই। আমরা চাই তারা বাস্তব মানুষের সঙ্গে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করুক। কারণ আমরা জানি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সামাজিক ক্ষতির কারণ হচ্ছে।’
এই আইন কার্যকর হলে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের প্রথম দেশগুলোর মধ্যে একটি হবে, যারা সামাজিক মাধ্যমে বয়সসীমা আরোপ করবে। এর আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এমন প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল। কারণ এতে অপ্রাপ্তবয়স্কদের অনলাইন অধিকার হ্রাসের অভিযোগ উঠেছিল।
অস্ট্রেলিয়ার ২৬ মিলিয়ন জনগণের মধ্যে চার-পঞ্চমাংশই সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয়। সরকারের একটি সংসদীয় তদন্তের প্রেক্ষাপটে এই পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়েছে, যেখানে কিশোর-কিশোরীদের ওপর সামাজিকমাধ্যমের মানসিক প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
২০২৩ সালের সিডনি ইউনিভার্সিটির একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ানদের তিন-চতুর্থাংশই ইউটিউব বা ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করে।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি
এসি/কেবি