ছবি : সংগৃহীত
শীতকালে বাসাবাড়িতে সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটি ব্যবহার করা হয় তা হলো গিজার। গোসলের জন্য কিংবা খাওয়ার পানি গরম করার ঝামেলা থেকে রেহাই মেলে ঘরে একটি গিজার থাকলে। এছাড়া অনেকেই হিটার রড ব্যবহার করেন পানি গরম করতে।
পানি গরম করার জন্য গিজার এবং ইমারসন দুটোই ভালো। উভয়েরই নিজস্ব সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে। ইমারসন রড বাজেট ফ্রেন্ডলি এবং পোর্টেবল। অন্যদিকে গিজার দীর্ঘমেয়াদি সুবিধা দেয়, সঙ্গে নিরাপদও। তবে দামে বিস্তর ফারাক রয়েছে।
তবে কোনটি ব্যবহার নিরাপদ এবং বিদ্যুৎসাশ্রয়ী তা ভেবে দেখেছেন কি? ইমারসন রড বা গিজার উভয় ব্যবহারের কিছু সুবিধা অসুবিধা রয়েছে। চলুন দেখে নেওয়া যাক-
আরো পড়ুন : এবার ফেসবুক ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর, বদলে যাচ্ছে মেসেঞ্জার!
ইমারসন রড
ইমারসন রডের দাম ৩০০ টাকা থেকে শুরু। ১৫০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এককথায় বাজেট ফ্রেন্ডলি। বিশেষ করে ছাত্রছাত্রী বা ছোট পরিবারগুলোর জন্য। সাধারণত ১.৫ থেকে ২.০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হয়। ঘণ্টা হিসেবে ধরলে ১.৫ ইউনিট।
ইমারসন রডের সুবিধা হলো এটা পোর্টেবল। যে কোনো জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায়। যারা মেসে থাকেন তাদের জন্য সুবিধাজনক। কিংবা সপরিবারে বেড়াতে গেলেও স্বচ্ছন্দ্যে ব্যাগে ঢুকিয়ে নিতে পারেন। খুব হালকা। পানি গরম হতে ১৫ থেকে ২০ মিনিট সময় লাগে। তবে পানিতে সঠিকভাবে ডোবাতে হবে। সমস্যা হলো ইমারসন ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকতে হবে। একটু এদিক ওদিক হলেই কারেন্ট লাগতে পারে।
গিজার
গিজারের দাম সাধারণত ৩ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়। তাই বাথরুমে গিজার লাগাতে গেলে হাতে টাকা থাকা প্রয়োজন। ইনস্ট্যান্ট গিজারে ৩ থেকে ৫ কিলোওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ খরচ হয়। স্টোরেজ গিজারে ২ থেকে ৩ কিলোওয়াট। ইমারসন রডের থেকে বেশি।
এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, স্যুইচ টিপলেই পানি গরম হয়ে যায়। ইনস্ট্যান্ট গিজার ছোট পরিবারগুলোর জন্য এবং স্টোরেজ গিজার বড় পরিবারগুলোর জন্য আদর্শ। এতে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, পাওয়ার ইন্ডিকেটর এবং পিইউএফ ইনস্যুলেশন এর মতো ফিচার থাকে। সমস্যা বলতে এর দাম বেশি। ব্যবহারের জন্য বাথরুমে অতিরিক্ত জায়গারও প্রয়োজন।
এস/ আই.কে.জে/