ছবি: সংগৃহীত
সাতক্ষীরা জেলার বাজারগুলোতে উঠতে শুরু করেছে পানিফল। আগাম চাষ করা ফল বিক্রি করে লাভের আশা করছেন চাষিরা। ফলটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। তাই এর চাহিদাও বাড়ছে দিন দিন।
স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় পানিফলের বাণিজ্যিক চাষ শুরু হয়েছে এক দশক আগে। পানিফল জলজ উদ্ভিদ। জলাশয় ও বিল-ঝিলে ফলটি জন্মে। পানিফলের একেকটি গাছ প্রায় ৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। স্থানীয়দের কাছে পানিফলের আরেক নাম ‘পানি শিঙাড়া’।
ফল চাষিরা জানান, পানিফল চাষ শুরু হয় ভাদ্র-আশ্বিন মাসে। ফল সংগ্রহ করা হয় অগ্রহায়ণ-পৌষ মাসে। পানিফল কচি অবস্থায় লাল, পরে সবুজ এবং পরিপক্ব হলে কালো রং ধারণ করে। ফলটির পুরু নরম খোসা ছাড়ালেই পাওয়া যায় হৃৎপিণ্ডাকার বা ত্রিভুজাকৃতির নরম সাদা শাঁস। কাঁচা ফলের নরম শাঁস খেতে বেশ সুস্বাদু। পানিফল কাঁচা খাওয়া হয়, তবে সেদ্ধ করেও খাওয়া যায়।
সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার সখিপুর গ্রামের আব্দুল গফ্ফার বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে পানিফল চাষ করছি। প্রথমে মানুষের মাঝে তেমন সাড়া পাওয়া না গেলেও দিন দিন চাহিদা বাড়ছে। এলাকার কয়েক হাজার বিঘা জলাভূমিতে পানিফল চাষ হচ্ছে। স্থানীয় বাজার ছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা ফল কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।’
পানিফল চাষি শহিদুল ইসলাম জানান, এ বছর তিনি ৫ বিঘা জমি লিজ নিয়ে পানিফলের চাষ শুরু করেছেন। শুরুতেই এই চাষ লাভের আশা দেখিয়েছেন তাকে। তিনি আগামী বছর আরও বেশি জমি নিয়ে চাষ করবেন বলেও জানান।
আরেক চাষি শামছুর রহমান বলেন, ‘১০ বছরের বেশি সময় ধরে পানিফল চাষ করে আসছি। এ বছর ১০ বিঘা জমিতে চাষ করেছি। বিঘাপ্রতি ১৫-২০ মণ ফলন পাচ্ছি। শুরুতেই প্রতি কেজি ৪০ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি করে লাভবান হচ্ছি। এই জমিতে দেশি প্রজাতির মাছ চাষ করা হচ্ছে। মাছ বিক্রি করেও বাড়তি আয় হয়।’
আরও পড়ুন: প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে আঙুর চাষ চাঁদপুরে
এসি/ আইকেজে
এসি/