ছবি: সংগৃহীত
বরিশালের ছয়টি আসনের মধ্যে পাঁচটিতে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বাদ আছে বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসন।
এই আসনে দলীয় মনোনয়ন পেতে এলাকায় সক্রিয় আছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান। এখানে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে আরও আছেন দলের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন।
২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেলিমা রহমান এই আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন। জয়নুল আবেদীন হয়েছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। বিএনপি গত সোমবার (৩রা নভেম্বর) জাতীয় সংসদের ২৩৭টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে। তবে বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি।
দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণার আগে থেকেই সেলিমা রহমান ও জয়নুল আবেদীন দলীয় ও ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে শুরু করেন নির্বাচনকেন্দ্রিক প্রচার। তবে এখনো হাল ছাড়েননি সেলিমা রহমান। তিনি এলাকায় ব্যক্তিভাবে দলীয় নানা কর্মসূচিতে সক্রিয় রয়েছেন। গতকাল বুধবার (৫ই নভেম্বর) বিকেলে তিনি বাবুগঞ্জে একটি নারী সমাবেশে যোগ দেন। বিএনপির ‘রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা’ কর্মসূচি সম্পর্কে নারীদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
গতকাল বিকেল ৫টায় উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ভুতেরদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ উঠান বৈঠকের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সেলিমা রহমান। এ সময় তিনি বলেন, ‘নারীর অংশগ্রহণেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সম্ভব। একটি জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে সবাইকে সংগঠিত হতে হবে।’ তবে দলীয় মনোনয়ন ঘোষণা না করা কিংবা সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে এখানে তিনি কোনো বক্তব্য দেননি।
ওই সমাবেশের পর বরিশাল-৩ আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণার বিষয়ে জানতে চাইলে সেলিমা রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে আসলে আমার বলার তেমন কিছু নেই। দল যাকে চূড়ান্ত করবে, আমরা তাকেই সবাই মেনে নেব। হয়তো তারা চিন্তাভাবনা করছেন। আমরা যেহেতু দুজনই সিনিয়র, তাই একটু সময় নিচ্ছে।’
মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে সেলিমা রহমান বলেন, ‘আমরা রাজনীতি করি। তাই সব সময়ই আমরা আশাবাদী। আশাবাদী না হলে রাজনীতির মধ্য দিয়ে দেশ ও মানুষের কল্যাণ করা যায় না।’
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন