সোমবার, ১লা সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৭ই ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** আজ বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী *** অন্তর্বর্তী সরকার যত বেশি ক্ষমতায় থাকবে, দুর্বলতা তত ফুটে উঠবে: তারেক রহমান *** সিইসির সঙ্গে বৈঠকে আমেরিকার চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স *** কাল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আরও সাতটি দলের বৈঠক *** ‘নির্বাচন কমিশন সার্ভিস’ গঠনে সিইসির আশ্বাস *** তিন দলের তিন মত, ফেব্রুয়ারিতেই ভোট করতে অনড় সরকার *** চীন সফর শেষে দেশে ফিরলেন এনসিপির নেতারা *** মুক্তিযুদ্ধের মূলনীতিকে ধারণ করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে: হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ *** কেউ যদি নির্বাচনের বিকল্প নিয়ে ভাবে, সেটা হবে জাতির জন্য গভীর বিপজ্জনক: প্রধান উপদেষ্টা *** জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে আলোচনা হয়নি: বিএনপি

বন্যার নাটকীয় লাইভ করে ভাইরাল মেহরুন্নিসা ভাই ভাই চ্যানেলের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৩:০৬ অপরাহ্ন, ১লা সেপ্টেম্বর ২০২৫

#

ছবি: দ্য ডনের সৌজন্যে

সম্প্রতি লাইভ কভারেজ করতে গিয়ে ভয়ে চিৎকার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছেন এক নারী রিপোর্টার। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর এই ঘটনাটি সামনে আসে। ওই নারী রিপোর্টারের নাম মেহরুন্নিসা। পাকিস্তানের পাঞ্জাবের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে নৌকায় বসে লাইভ রিপোর্ট করছিলেন তিনি। খবর দ্য ডনের।

ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, দোলাচল নৌকায় তার লাইভ রিপোর্টিংয়ে প্রথমে বেশ গুরুত্ব নিয়ে বলছিলেন—‘আপনারা দেখতে পাচ্ছেন, পানির চাপ বাড়ছে।’ কিন্তু পর মুহূর্তেই তার কণ্ঠ বদলে যায় এবং আতঙ্কে তিনি চিৎকার করে ওঠেন—‘বড়ই ডর লাগ রাহী, কাভী ইয়ে ইস সাইড পে হোতি কাভি উস, ব্যালেন্স না হোরা হাম সে (খুব ভয় লাগছে, নৌকা কখনো এদিক যায় কখনো ওদিক, আমরা ভারসাম্য রাখতে পারছি না)।’ এরপর তিনি দর্শকদের উদ্দেশে বলেন, ‘বাস আপ হামারে লিয়ে দুয়া করে গাইস (দয়া করে আমাদের জন্য প্রার্থনা করবেন)।’

এই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। অনেকেই তার ‘মিষ্টি কণ্ঠ’ ও ‘সাহসিকতার’ প্রশংসা করেন। কেউ কেউ তার ‘ব্যালেন্স না হোরা হাম সে’ মন্তব্যটিকে পাকিস্তানের সামগ্রিক জীবনের একটি দার্শনিক রূপক হিসেবেও বর্ণনা করেন।

ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর নেটিজেনরা তার হাতে থাকা মাইক্রোফোনের ব্র্যান্ডিং লক্ষ্য করে। প্রথমে অনেকেই ভেবেছিলেন, তিনি হয়তো বিবিসি উর্দুর একজন রিপোর্টার। কিন্তু জানা যায়, মাইক্রোফোনে লেখা ‘বিবিসি’ আসলে ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং করপোরেশনের নয়। এটি ছিল ‘বিবিসি উর্দু নিউজ পাঞ্জাব টিভি’ নামে আরেকটি চ্যানেলের।

এই বিভ্রান্তির কারণে বিবিসি উর্দু দ্রুত একটি বিবৃতি দিয়ে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করে। তারা জানায়, এই চ্যানেল বা তার কোনো রিপোর্টারের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই এবং এই প্রতিষ্ঠানকে তাদের নাম ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়নি।

কিন্তু মেহেরুন্নিসা নামের সেই রিপোর্টারও বসে থাকেননি। আরেকটি ভাইরাল ভিডিওতে তিনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বিবিসির অভিযোগের জবাব দেন। তিনি বলেন, ‘তারা বলে আমরা বিবিসি নকল করেছি। কিন্তু তাদের বিবিসি মানে ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং করপোরেশন আর আমাদের বিবিসি মানে ভাই ভাই চ্যানেল।’ তার এই মজাদার ও আত্মবিশ্বাসী জবাব সোশ্যাল মিডিয়ায় আরও প্রশংসা কুড়ায়।

ব্র্যান্ডিংয়ের এই বিতর্ক বাদ দিলেও, মেহেরুন্নিসার সাহসিকতা এবং তার রিপোর্টিংয়ের স্টাইল পাকিস্তানের ইন্টারনেট দুনিয়ায় একটি আইকনিক ঘটনা হয়ে থাকবে। তার এই ভিডিওটি এখন পাকিস্তানের ইন্টারনেট হল অফ ফেমে জায়গা করে নিয়েছে।

জে.এস/

পাকিস্তান সাংবাদিক নারী সাংবাদিক

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন