ছবি: সংগৃহীত
প্রাইমারি শিক্ষকদের বেতন কম তাই কেউ প্রাইমারি শিক্ষকদের কাছে মেয়ে বিয়ে দিতে চায় না, তাই আমার বয়স প্রায় পঞ্চাশ হয়ে গেল এখনো বিয়ে করতে পারিনি। এমনটাই বলছিলেন আন্দোলনে অংশ নেওয়া একজন শিক্ষক।
তিনি বলেন, ‘যখনই বিয়ের আলাপ শুরু হয়, তখনই মেয়ের বাবারা বলেন, কীভাবে একজন প্রাইমারি শিক্ষকের কাছে মেয়ে বিয়ে দেব। আমরা যে চাকরি করি এখানে কোনো ঘুষ নেই, মেয়ের বাবারা চাচ্ছেন একজন পাত্র, তার ঘুষের টাকা আছে কি না এবং সে ভালো বেতনে চাকরি করে কি না।’
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চলমান আন্দোলন থামাতে আজ সোমবার (১০ই নভেম্বর) বিকেলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দাবি বাস্তবায়নের বিষয়টি চূড়ান্ত হলে অবস্থান কর্মসূচি ও কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করবেন প্রাথমিক শিক্ষকেরা।
তিন দফা দাবিতে সোমবার প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের তৃতীয় দিনের অবস্থান কর্মসূচি চলে। প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ আয়োজিত এই কর্মসূচির পাশাপাশি সারাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত থেকেই কর্মবিরতি পালন করছেন।
এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির (কাসেম-শাহীন) সভাপতি প্রধান শিক্ষক মো. আবুল কাসেম, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির (শাহিন-লিপি) সাধারণ সম্পাদক খায়রুন নাহার লিপি, প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. শামছুদ্দিন মাসুদ এবং দশম গ্রেড বাস্তবায়ন সমন্বয়ক মু. মাহবুবুর রহমান।
শিক্ষকদের এই আন্দোলন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া তৃতীয় ধাপে সুপারিশ পাওয়া সহকারী শিক্ষক মো. মহিব বুল্লাহ জানান, তারাও এই আন্দোলনে তৃতীয় দিনেও সক্রিয় রয়েছেন। অন্যদিকে, দেশের বিভিন্ন সংগঠন শিক্ষকদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে।
খবরটি শেয়ার করুন