রবিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৭ই বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বৈশাখের রঙে রঙিন দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৪:৪১ অপরাহ্ন, ১৪ই এপ্রিল ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

‘আইলো আইলো আইলো রে, রঙে ভরা বৈশাখ আবার আইলো রে’ শিল্পী ইশতিয়াকের এ গানে জেগে উঠেছে বাংলার প্রতিটি প্রাণ। পুরোনো সব গ্লানি মুছে নতুন করে পথচলার তাড়না সবার। ভরা বৈশাখের ছোঁয়ায় জীবনের ম্লান হয়ে যাওয়া অধ্যায়গুলোকে সজীব করে নেওয়ার এই তো সুযোগ! দেশের সর্বত্রই জাগ্রত সে প্রাণের বহিঃপ্রকাশ দেখা যায়। প্রতি বছর দেশের শীর্ষস্থানীয় বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ আমেজ থাকে সবচেয়ে বেশি।

নববর্ষকে বরণ করে নিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা বৈশাখের সর্ববৃহৎ আকর্ষণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বর, বটতলা, হাকিম চত্বর, নাটমণ্ডল ইত্যাদি নানা স্থানে নববর্ষকে ঘিরে থাকে নানা কর্মসূচি। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে রাজধানীর বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এ সব কর্মসূচির অংশ হতে ছুটে আসেন। রঙিন এসব উৎসবে যোগ দেন বন্ধু-বান্ধব, পরিবার-পরিজন এবং প্রিয়জনদের নিয়ে।

নববর্ষকে নিজেদের মতো করে উদ্যাপন করেন মানুষ। কেনাকাটা, ছবি তোলা, পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে মিলিত হওয়া, চারুকলা-টিএসসি-বটতলায় বসে আড্ডা দেওয়াসহ নানা ব্যস্ততায় সময় কেটে যায়।

আজ সোমবার (১৪ই এপ্রিল) পয়লা বৈশাখের দুপুরে চারুকলা অনুষদে গিয়ে দেখা যায় উৎসবমুখর মানুষের হিড়িক। রঙে রঙে রঙিন হয়ে উঠেছে চারুকলা। শাড়ি-পাঞ্জাবি পরে সেজেগুজে বৈশাখের রঙিন এ দিনকে উপভোগ করছেন নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই। শোভাযাত্রায় বহন করা মোটিফগুলোর সঙ্গে ছবি তোলায় ব্যস্ত অনেকে। আবার অনেকে বকুলতলায় বসে প্রিয়জনদের সঙ্গে হাস্যরসে মেতেছেন। একপাশে নাগরদোলায় চড়ছে কিশোর-কিশোরীরা। শিশুরা ব্যস্ত বিভিন্ন খেলনা নিয়ে।

চারুকলার সামনে ফুটপাতে বসেছে নানা দোকান। বাঁশি, বাদ্যযন্ত্র, চুড়ি, হাতপাখা শৌখিন নানা জিনিসের সমাহার ঘটেছে সেখানে। বেচা-কেনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। নববর্ষ উপলক্ষে কেউ কেউ বিশেষ ছাড়ও দিচ্ছেন।

সারাদেশেই চলছে বিভিন্ন আয়োজনে বর্ষবরণ। কক্সবাজারে রয়েছেন লাখো পর্যটক। তাদের কথা মাথায় রেখে এবার সমুদ্রসৈকতেই বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে জেলা প্রশাসন। সকালে সৈকতের সিগাল পয়েন্ট থেকে বৈশাখী শোভাযাত্রা শুরু হয়। শোভাযাত্রাটি শেষ হয়েছে লাবনী পয়েন্টে। সেখানে নির্মাণ করা মঞ্চে চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

সকাল আটটার দিকে শুরু হয় শোভাযাত্রাটি। এতে পর্যটকদের পাশাপাশি স্থানীয় হোটেল-রেস্তোরাঁমালিক-কর্মী, সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। বাদ্যের তালে তালে নেচেগেয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেন তারা। শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ সালাহউদ্দিন।

এইচ.এস/

বর্ষবরণ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন