প্রতীকী ছবি
একটুকরা লেবুতেই আপনার খাবারের স্বাদ বদলে যেতে পারে। লেমোনেডসহ অন্যান্য সুস্বাদু পানীয়ও তৈরি হয় লেবু দিয়ে। পুষ্টিকর এই ফল সব বয়সী মানুষেরই কাজে আসে। লেবুতে পাবেন ভিটামিন সি। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানো ছাড়াও অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এই ভিটামিন।
তারুণ্য ধরে রাখতেও তাই লেবু দারুণ কার্যকর। কীভাবে লেবু খাওয়া হলে তা থেকে সবচেয়ে বেশি উপকার মেলে, জেনে নেওয়া যাক।
খোসাসহ লেবু
লেবুর যে অংশে সবচেয়ে বেশি ভিটামিন সি থাকে, তা হলো লেবুর খোসা। তাই লেবুর রসের চেয়ে লেবুর খোসা খাওয়া বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যদিও লেবুর খোসা খুব একটা সুস্বাদু কিছু নয়। তবু পুষ্টিগুণ বিবেচনায় লেবুর খোসা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন।
ভাত-তরকারির সঙ্গে খানিকটা লেবুর খোসা খেয়ে নিতে পারেন। চটপটি, ফুচকা, মুড়ি মাখার সঙ্গেও কুচি করে দিতে পারেন লেবুর খোসা। কারও কারও অবশ্য লেবুর খোসা খেলে অস্বস্তি হতে পারে। তাদের ক্ষেত্রে বাদ দেওয়া ছাড়া উপায় নেই।
উদ্ভিজ্জ আয়রনের সঙ্গে
কচুশাক, লালশাক, পালংশাক, আলু, ব্রকলি, চানাবুট, টফু, সয়া, মসুর ডাল, ওট প্রভৃতি অনেক ধরনের উদ্ভিজ্জ খাবারেই বেশ খানিকটা আয়রন থাকে। কিন্তু এই আয়রন আমাদের দেহে ভালোভাবে শোষিত হয় না। তাই খুব একটা কাজেও লাগে না।
এই আয়রনকে দেহের কাজে লাগানোর উপযোগী করে তুলতে প্রয়োজন ভিটামিন সি। তাই আপনি যদি এ ধরনের খাবারের সঙ্গে লেবু খেয়ে নেন, বিশেষত লেবুর খোসা, তাহলে এই আয়রন আপনার দেহে ভালোভাবে শোষিত হবে। অর্থাৎ তা আপনার দেহের কাজে আসবে। আয়রনের ঘাটতিজনিত রক্তস্বল্পতা এবং অন্যান্য সমস্যা এড়াতে এভাবেই সহায়তা করে লেবু।
পানীয় হিসেবে
লেবুর রস দিয়ে তৈরি পানীয় বেশ জনপ্রিয়। তবে খোসাসহ লেবুর টুকরা দিয়ে তৈরি ডিটক্স ওয়াটার আপনার আরও বেশি কাজে আসবে। কারণ, তা থেকে ভিটামিন সি পাবেন বেশি। ২০০-২৫০ মিলিলিটার পানিতে একটুকরা লেবু (খোসাসহ) ভিজিয়ে রাখুন ঘণ্টা দুয়েক। পাত্রটি ঢেকে রাখুন এ সময়। তৈরি হয়ে যাবে দারুণ এক ডিটক্স ওয়াটার।
এই ডিটক্স ওয়াটার একবারেই খেয়ে নেওয়া ভালো। আর লেবুর রস দিয়ে যখন কোনো পানীয় তৈরি করবেন, তখন অবশ্যই খেয়াল রাখবেন, সেটি যেন খুব ঘন না হয়। সব সময় পর্যাপ্ত পানি দিয়ে লেবুর রস দ্রবীভূত করে পানীয় তৈরি করা উচিত। নইলে তা অ্যাসিডিটির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
উত্তাপ এড়িয়ে
উত্তাপে ভিটামিন সি নষ্ট হয়ে যায়। তাই চুলায় রান্না কিংবা বেকিংয়ের সময় ব্যবহৃত লেবু থেকে আপনি ভিটামিন সি পাবেন না। খুব বেশি গরম খাবার বা পানীয়ে যোগ করা লেবু থেকেও আপনি খুব একটা ভিটামিন সি না-ও পেতে পারেন। খাবারের স্বাদ বাড়াতে এভাবে লেবু যোগ করা হলেও ভিটামিন সি পাওয়ার জন্য অন্য কোনোভাবে লেবু খাওয়ার কথাও খেয়াল রাখুন।
বাড়তি চিনি নয়
লেবুর টকভাব কমাতে তা দিয়ে তৈরি পানীয়ে বেশ খানিকটা চিনি যোগ করে খাওয়া হয়। এ অভ্যাস একেবারেই ভালো নয়। নানা স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ চিনি। মধু বা কৃত্রিম চিনিও ব্যবহার না করা ভালো।
যদি কোনো কারণে লবণ খাওয়া নিষেধ না হয়ে থাকে, তাহলে পানীয়ে খুব সামান্য লবণ যোগ করা যেতে পারে। স্বাদ বাড়াতে পুদিনাপাতা, গোলমরিচ, সামান্য লেবুর খোসার কুচি যোগ করতে পারেন লেবু দিয়ে তৈরি যে কোনো পানীয়ে।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন