ছবি: সংগৃহীত
১৯৭৩ সালে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। ৫০ বছর পর মন্ত্রী হয়ে এসে সেই প্রতিষ্ঠানে উদ্বোধন করলেন ৩০ শয্যার আইসিইউ ওয়ার্ড।
এমন একটি কাজে নিজের নাম জড়িত থাকায় বেশ উচ্ছ্বসিত ছিলেন তিনি।
শনিবার (২৭শে জানুয়ারি) সকালে আইসিইউ ওয়ার্ড উদ্বোধন করে ডা. সামন্ত লাল সেন নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেন সাংবাদিকদের কাছে।
মন্ত্রী বলেন, চমেকের ছাত্র হিসেবে এটি উদ্বোধন করতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। মুমূর্ষু রোগীদের জীবন বাঁচাতে এই ইউনিট ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি।
চমেক হাসপাতালের নিচতলায় অবস্থিত ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকানের পেছনে থাকা পূর্বের মানসিক ওয়ার্ডে নতুন আইসিইউ ওয়ার্ডটিতে বসানো হয়েছে অত্যাধুনিক সব সরঞ্জাম। সর্বশেষ করোনা মহামারির সময় চট্টগ্রামে আইসিইউ সংকট দেখা দেয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে গত ৬৩ বছরে মাত্র ২০টি আইসিইউ ছিল চমেক হাসপাতালে। চলতি বছর এ ৩০টি আইসিইউ চালু হওয়ায় মোট আইসিইউর সংখ্যা দাঁড়ালো ৫০টিতে।
এদিন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী চমেক হাসপাতালে স্থাপন হতে যাওয়া ১৫০ শয্যার বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের জন্য নির্ধারিত স্থান ঘুরে দেখেন।
আরও পড়ুন: মৃত মানুষের কিডনিতে বাঁচল দুজনের প্রাণ
এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, এই বার্ন ইউনিট নিয়ে অনেকদিন ধরে যুদ্ধ করে আসছি। আমি এই মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র। আমার একটা স্বপ্ন-এখানে যেন একটা বার্ন ইউনিট হয়। আমরা কাজ মোটামুটি গুছিয়ে নিয়ে এসেছি। চাইনিজদের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ আছে। রোববার (২৮শে জানুয়ারি) প্রি-একনেক মিটিংয়ে বার্ন ইউনিটের বিষয়টি তোলা হবে। এরপর ডিপিপি পাস হলেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবো। সবাই সাহায্য করলে দ্রুত ১৫০ শয্যার বার্ন ইউনিটের কাজ শুরু হবে। পূর্ণাঙ্গ বার্ন ইউনিট হলে চট্টগ্রামে আগুনে পোড়া রোগীরা উন্নত চিকিৎসা পাবে। এ বার্ন ইউনিটে অত্যাধুনিক আইসিইউ, এইচডিইউ ও ওটি সুবিধা থাকবে।
চমেক হাসপাতালে বিভিন্ন রোগ নির্ণয়ের যন্ত্রপাতি অচল থাকার বিষয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে হাসপাতাল পরিচালকের সঙ্গে কথা বলবো। সচিব-ডিজি আছেন, তারাও কথা বলবেন। কোথায় কি সমস্যা আছে-সেটা অবশ্যই দেখবো।
এসকে/
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ
খবরটি শেয়ার করুন