ছবি: সংগৃহীত
যশোরের বেনাপোল সীমান্ত থেকে ইমরান হোসেন নামে যশোর জেলা ছাত্রলীগের (নিষিদ্ধ ঘোষিত) এক নেতাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। ধারণা করা হচ্ছে, ভারতে পালিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি সীমান্তে অবস্থান করছিলেন।
শুক্রবার (৫ই সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে স্থানীয় জনতা তাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। আটক ইমরান যশোর শহরের বারান্দীপাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং যশোর এমএম কলেজ ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক।
এদিকে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীদের দাবি, ইমরান বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলামের বাড়িতে বোমা হামলার সময় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। একই সঙ্গে গত ৪ঠা আগস্ট বিএনপির পার্টি অফিসে হামলার ঘটনায়ও তার সম্পৃক্ততা ছিল। এসব ঘটনার বিভিন্ন ফুটেজেও তাকে দেখা গেছে।
শুক্রবার রাতে ভবেরবেড়ে তাকে সন্দেহজনকভাবে চলাচল করতে দেখে স্থানীয়রা প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে এমএম কলেজের কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থী তাকে চিনে ফেলেন। একপর্যায়ে জড়ো হতে থাকে স্থানীয়রা ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এ সময় তাকে আটকে রেখে বেনাপোল পোর্ট থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল মিয়া বলেন, ‘ইমরানকে যশোর কোতোয়ালি থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তরের জন্য পাঠানো হয়েছে।’
স্থানীয়রা জানান, ৫ই আগস্টের অভ্যুত্থানের পর থেকে বিভিন্ন অপরাধী ভারতে পালানোর জন্য দালাল চক্রের মাধ্যমে প্রথমে সীমান্তের পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে অবস্থান নেয়। পরে সুযোগ বুঝে ওপারে রাজনৈতিক আশ্রয়ে চলে যায়। ইতিপূর্বে বেশ কয়েকজন আটক হয়েছে। তবে বিভিন্ন জনকে ম্যানেজ করে অধিকাংশই পালিয়ে যাচ্ছে।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন