ছবি: সংগৃহীত
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, মেরিন ফিশারিজ একাডেমি হতে প্রশিক্ষিত হয়ে ক্যাডেটরা হতে চলেছেন গভীর সমুদ্রের অকুতোভয় কাণ্ডারী। কঠোর অধ্যবসায় এবং প্রগাঢ় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অর্জিত এই জ্ঞান ক্যাডেটদের ভবিষ্যৎ কর্মক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
আজ মঙ্গলবার (৩রা ডিসেম্বর) সকালে মেরিন ফিশারিজ একাডেমি, চট্টগ্রামের ৪৩তম ব্যাচের ক্যাডেটদের পাসিং আউট প্যারেড-২০২৪ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, কর্মজীবনে উন্নতির প্রধান ভিত্তি হলো কঠোর পরিশ্রম, সময়ানুবর্তিতা, সততা, কর্মদক্ষতা, মূল্যবোধ এবং দেশ ও জাতির প্রতি কর্তব্যনিষ্ঠা। এই বোধগুলো আত্মস্থ করে ক্যাডেটরা ভবিষ্যত কর্মক্ষেত্রে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, দেশের জনসাধারণের খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা পূরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রপ্তানি আয় বৃদ্ধিসহ দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে মৎস্যসম্পদের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, জনবল ও প্রশিক্ষণ সুবিধাদির উন্নয়নের মাধ্যমে এই একাডেমিকে যুগোপযোগী মেরিটাইম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উন্নীত করতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সর্বদা সচেষ্ট রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন
এর আগে এ বছর একাডেমির ৪৩তম ব্যাচে ১০৬ জন (১২ জন মহিলাসহ) ক্যাডেট পাসড আউট হয়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ক্যাডেটদের মধ্যে পদক বিতরণ করেন। এ বছর ৪৩তম ব্যাচের ক্যাডেটদের মধ্যে সকল বিষয়ে সর্বোচ্চ মান অর্জনকারী ক্যাডেট হিসেবে মেরিন ফিশারিজ বিভাগের ক্যাডেট মোহাম্মদ আহসান উল আনোয়ার 'বেস্ট অল রাউন্ডার গোল্ড মেডেল' প্রাপ্ত হন। তিন বিভাগের সর্বোচ্চ মান অর্জনকারী ক্যাডেট হিসেবে নটিক্যাল সায়েন্স বিভাগ হতে ক্যাডেট মোঃ রায়হান হোসেন মজুমদার, মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ হতে ক্যাডেট মোঃ জোবায়ের আব্দুল্লাহ্ এবং মেরিন ফিশারিজ বিভাগ হতে ক্যাডেট মোহাম্মদ আহসান উল আনোয়ার 'বেস্ট ইন প্রফেশনাল ট্রেনিং সিলভার মেডেল' পদক প্রাপ্ত হন। এছাড়াও মহিলা ক্যাডেটদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ মহিলা ক্যাডেট হিসেবে নটিক্যাল সায়েন্স বিভাগের ক্যাডেট শারমিন সুলতানা 'বেস্ট ফিমেইল ইন প্রফেশনাল ট্রেনিং সিলভার মেডেল' পদক প্রাপ্ত হন।
এসি/ আই.কে.জে/