মুন্সী ফয়েজ আহমদ। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার। প্রথম ধাপে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা দেশে ফেরত যাবে।
আজ শুক্রবার (৪ঠা এপ্রিল) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ব্যাংককে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে এক বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা সংকট ও অন্যান্য অগ্রাধিকার বিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমানকে এ তথ্য জানান মিয়ানমারের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউ থান শোয়ে।
বিষয়টি এমন এক সময়ে সামনে এলো, যখন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিমসটেক জোটের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অবস্থান করছেন। মিয়ানমারও এ জোটের সদস্য।
চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমদ বিষয়টিকে 'রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ইতিবাচক অগ্রগতি' হিসবে দেখছেন। তবে বিষয়টিকে 'গুরুত্বপূর্ণ ও ইতিবাচক অগ্রগতি' হিসেবে চিহ্নিত করলেও সাবেক এ কূটনীতিক মনে করেন, 'রোহিঙ্গা ইস্যুতে এখনই কোনো উপসংহারে পৌঁছানো উচিত হবে না।'
তিনি সুখবর ডটকমকে বলেন, 'নিঃসন্দেহে এটি একটি পজিটিভ ডেভেলপমেন্ট। কিন্তু এর মধ্য দিয়ে কনক্লুসিভ ডেভেলপমন্টে পৌঁছানো সহজ হবে না।' কারণ হিসেবে রোহিঙ্গাদের আবাসভূমি মিয়ানমারের রাখাইনের বর্তমান পরিস্থিতির কথা বলেছেন মুন্সী ফয়েজ আহমদ।
তার মতে, 'বর্তমান টাইমিংটা একটু জটিল। রাখাইন এখন প্রধানত আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে। সেখানে জান্তা সরকারের (মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন) নিয়ন্ত্রণ নেই বললেই চলে। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনে জান্তা সরকারের তৎপরতার পাশাপাশি অন্যদের সম্পৃক্ততা জরুরি।'
তিনি বলেন, 'যেহেতু এক লাখ আশি হাজার রোহিঙ্গার একটা আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি মিলেছে, আজ হোক, বা কাল হোক প্রত্যাবাসনের জন্য একটা প্রামাণ্য দলিল হিসেবে কাজ করবে এ স্বীকৃতি। তবে রাখাইনে জান্তা নিয়ন্ত্রণ ফিরে না পেলে সেগুলো নিছকই দলিল হয়েও থেকে যেতে পারে।
মুন্সী ফয়েজ আহমদ আরো বলেন, 'আর যদি জান্তা বা কেন্দ্রীয় সরকার কখনো নিয়ন্ত্রণ ফিরে পায়ও, স্থানীয় প্রশাসনে রাখাইনদের আধিপত্য থাকবেই। সেক্ষেত্রে তাদের সঙ্গেও একটা বোঝাপড়া কিংবা আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।'
এইচ.এস/
খবরটি শেয়ার করুন