ছবি: সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস আজ । বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে রোববার (৮ই সেপ্টেম্বর) যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয় ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস-২০২৪’।
ইউনেস্কো নির্ধারিত এ বছর সাক্ষরতা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘প্রমোটিং মাল্টিলিঙ্গুয়াল এডুকেশন : লিটারেসি ফর মিউচুয়াল আন্ডারস্টান্ডিং এন্ড সি’। যা বাংলায়, ‘বহু ভাষায় শিক্ষার প্রসার : পারস্পরিক সমঝোতা ও শান্তির জন্য সাক্ষরতা।’
১৯৭২ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যে সংবিধান প্রণীত হয় তার ১৭নং অনুচ্ছেদে দেশ থেকে নিরক্ষরতা দূরীকরণ এবং শিক্ষাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
সাক্ষরতা বিস্তারে ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সাক্ষরতা দিবস উদযাপিত হয়। অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা থেকে মুক্তির অন্যতম উপায় হলো সাক্ষরতা অর্জন করা।
আরও পড়ুন: নিউইয়র্কে মোদির সঙ্গে বৈঠক করতে চান ড. ইউনূস
উল্লেখ্য, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই সাক্ষরতার সংজ্ঞায় ভিন্নতা থাকলেও ১৯৬৭ সালে ইউনেস্কো সর্বজনীন একটা সংজ্ঞা নির্ধারণ করে। তখন শুধু কেউ নাম লিখতে পারলেই তাকে সাক্ষর বলা হতো।
পরবর্তীতে প্রায় প্রতি দশকেই এই সংজ্ঞায় পরিবর্তন এসেছে এবং ১৯৯৩ সালের একটি সংজ্ঞায় ব্যক্তিকে সাক্ষর হওয়ার জন্য তিনটি শর্ত পূরণ করতে হয়। সেগুলো হলো- ব্যক্তি নিজ ভাষায় সহজ ও ছোট বাক্য পড়তে পারবে, নিজ ভাষায় সহজ ও ছোট বাক্য লিখতে পারবে, দৈনন্দিন জীবনের সাধারণ হিসাব-নিকাশ করতে পারবে।
তবে প্রতিটি মানুষের শেখার ধরন আলাদা আলাদা, তা বোঝার চেষ্টা করতে হবে। সাক্ষরতা অর্জনে সবাইকে সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। সাক্ষরতা অর্জনের পদ্ধতিগুলো মানসম্মত ও ন্যায়সংগত হতে হবে।
এসি/কেবি