ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. মাইনুল হাসান বলেছেন, থানায় মামলা রেকর্ড হলেই এজাহার নামীয় আসামি ধরতে হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তদন্ত সাপেক্ষে আসামি ধরা হবে। এছাড়া ঢাকায় পুলিশ হত্যা, থানায় অগ্নিসংযোগ ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় মামলা হবে।
রোববার (১৫ই সেপ্টেম্বর) ডিএমপি সদরদপ্তরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ক্রিমিনাল ইভেন্ট কখনো তামাদি হয় না। পুলিশ হত্যা এবং থানার লুটপাটের ঘটনায়ও মামলা হবে।
গণহারে মামলা ও এজাহারে সাংবাদিকদের নাম দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এজাহারে নাম থাকলেই গ্রেফতার করতে হবে বিষয়টা এ রকম না। কালেকটিভ তদন্ত করে তারপর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে সব মামলায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ফেনীর মাথিয়ারা প্রাইমারি স্কুলে মেডিকেল ক্যাম্পে বিনামূল্যে ৫০০ রোগীর চিকিৎসা
তিনি বলেন, পুলিশের ১৭৭টি যানবাহন ক্ষতি হয়েছে। অনেক স্থাপনা ক্ষতি হয়েছে। সেসব সারিয়ে তোলার কাজ চলছে। দুই-এক সপ্তাহের ভেতরে সব থানা স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরবে। ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। ট্রাফিক পুলিশ এখন গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করছে। ধীরে ধীরে আরও উন্নতি হবে। এ ছাড়া ছিনতাই প্রতিরোধে পুলিশ আরও সক্রিয় হবে। পুলিশের টহল ও চেকপোস্ট কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
পুলিশের মনোবল চাঙা করতে কাজ চলছে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, বিভিন্ন দাবি নিয়ে লোকজন রাস্তায় নেমে অবরোধ করে যানজট সৃষ্টি করছে। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা প্রধান সড়কে উঠে যাচ্ছে। পুলিশ এসব নিয়ে কাজ করছে। রাস্তা ও ফুটপাত হকারমুক্ত করার চেষ্টা করছে পুলিশ। ধীরে ধীরে পুলিশ তার স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরছে।অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও অপরাধীদের গ্রেফতার অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।
এসি/কেবি