শুক্রবার, ১৮ই অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৩রা কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লটকন চাষে ভালো আয় করছেন স্কুলশিক্ষক শামছুল আলম

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:৪০ অপরাহ্ন, ২৬শে জুলাই ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক শামসুল আলম লটকন চাষে ব্যাপক সফলতার মুখ দেখেছেন। আড়াই হাজার লটকন গাছ থেকে গত বছর ৫ লাখ টাকার ফল বিক্রি করেছেন তিনি। চলতি মৌসুমে ফলন ও বিক্রি ভালো হওয়ায় টাকার পরিমাণ দ্বিগুণ হওয়ার আশা করছেন তিনি।

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার পাহাড়ি এলাকা রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা শামসুল আলম। তিনি ঘাটাইল সালেহা ইউসুফজাই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কৃষি বিজ্ঞানের শিক্ষক ছিলেন। রোপনকালে কিছু মূলধন খাটলেও এর পরিচর্যায় তেমন একটা ব্যয় না থাকায় লটকন চাষ সম্ভাবনাময় বলে দাবি করছেন তিনি।

শামসুল আলম জানান, ২০১৪ সালে নরসিংদীতে গিয়ে লটকন বাগান দেখেন। সেখানকার চাষিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে সেখান থেকে বীজ সংগ্রহ করে চারা উৎপাদন করেন। উৎপাদিত চারা বাড়ির পাশের সাড়ে ৭ একর জমিতে রোপণ করেন। ৫-৬ বছর পর কিছু গাছে ফল আসতে শুরু করে। অন্যদিকে ২ হাজারের বেশি গাছ পুরুষ হওয়ায় কেটে ফেলতে হয়। বর্তমানে বাগানের আড়াই হাজার গাছে ফল হচ্ছে।

সরেজমিনে জানা যায়, প্রতিটি গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে লটকন। বিভিন্ন এলাকা থেকে ফল ব্যবসায়ীরা আসছেন লটকন কিনতে। ব্যবসায়ীরা বাগানে ঢুকে গাছ থেকে লটকন সংগ্রহ করছেন। চাষি শামসুল আলম ওজন করে সেগুলো পাইকারি বিক্রি করছেন।

আরও পড়ুন: শ্রাবণ মাসে যে সবজি চাষ করবেন

টাঙ্গাইলের ফল ব্যবসায়ী সাইফুল বলেন, এই বাগানের লটকন নরসিংদীর লটকনের মতো সুস্বাদু। ৭০ টাকা কেজি দরে লটকন কিনেছি। এ ছাড়া প্রতি কেজিতে পরিবহন বাবদ খরচ আছে আরও পাঁচ টাকা। টাঙ্গাইলে এই লটকন ১৩০-১৪০ টাকা কেজি বিক্রি করি।

ঘাটাইলের ফল ব্যবসায়ী শরীফ বলেন, নরসিংদী থেকে লটকন আনতে পরিবহন খরচ অনেক বেশি। এখন বাড়ির কাছেই উন্নত মানের লটকন হচ্ছে। গত বছর থেকে শামসুল আলমের বাগান থেকে লটকন নিয়ে বিক্রি শুরু করি। মৌসুমে দুইদিন পরপর দু-তিন মণ লটকন বিক্রি করি। আশপাশের জেলা-উপজেলার ব্যবসায়ীরা তার বাগান থেকে লটকন কিনতে আসেন।

এসি/ আই.কে.জে/

লটকন চাষ স্কুলশিক্ষক শামছুল

খবরটি শেয়ার করুন