ছবি: সংগৃহীত
১৩৪ রানের লক্ষ্য। মামুলি এই লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়েও পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে খেলতে হলো ১৮ ওভার পর্যন্ত। বোলার দুশমন্ত চামিরার বলে মোহাম্মদ নওয়াজের ছক্কায় যখন নিশ্চিত হলো পাকিস্তানের জয়, তখন ক্রিজের দুই ব্যাটার চোখ তুলে তাকালে আকাশ পানে; একটা স্বস্তির আভা তাদের চোখে মুখে।
অথচ লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা দুর্দান্তই হয়েছিল পাকিস্তানে। কোনো উইকেট না হারিয়ে পঞ্চম ওভারেই তুলে ফেলেছিল ৪৩ রান। সাহিবজাদা ফারহান (২৪) ও ফখর জামান (১৭) যেভাবে ব্যাট করছিলেন, তাতে মনে হয়েছিল লক্ষ্যতাড়া খুব বেশি ওভার খেলতে হবে না পাকিস্তানকে।
কিন্তু এরপরই মিনি মোড়ক লাগে পাকিস্তান ইনিংসে; বিনা উইকেট ৪৫ থেকে একপর্যায়ে দলটির রান হয়ে যায় ৪ উইকেটে ৫৭। ৪৫ থেকে ৫৭—এই ১২ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারায় পাকিস্তান। দুই ওপেনার ছাড়াও এই চার উইকেটের মধ্যে ছিলেন পাকিস্তানের দুই ব্যাটিং নির্ভরতা সায়েম আইয়ুব (২) ও অধিনায়ক সালমান আগা (৫)।
এই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগে আউট হয়ে যান মোহাম্মদ হারিস (১৩)। তখন দারুণ উজ্জীবিত শ্রীলঙ্কান শিবির। তবে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে নওয়াজ ও হুসেইন তালাত ৪১ বলে ৫৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়লে ১২ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটে জিতে যায় পাকিস্তান। ২৪ বলে অপরাজিত ৩৮ রান করেন নওয়াজ। ৩০ বলে ৩২* করেন তালাত। মাহিশ থিকশানা ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।
এর আগে মঙ্গলবার (২৩শে সেপ্টেম্বর) আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে কামিন্দু মেন্ডিসের ফিফটিতে ৮ উইকেটে ১৩৩ রান তোলে শ্রীলঙ্কা।
ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি শ্রীলঙ্কার। দলীয় ১৮ রানে তারা হারিয়ে ফেলেছিল দুই ওপেনার কুশল মেন্ডিস (০) ও পাতুম নিশাঙ্কাকে (৮)। এই জোড়া ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই ৪৩ রানে বিদায় নেন কুশল পেরেরা (১৫)। তবে ইনিংসের সবচেয়ে বাজে অবস্থা আসে এরপরই।
৫৮ রানে ৫ উইকেট খুইয়ে ফেলে লঙ্কানরা। পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে একমাত্র কামিন্দু মেন্ডিস ছাড়া দ্বিতীয় কিউই মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি। পাঁচ নম্বরে ব্যাটিংয়ে এসে কামিন্দু ৪৪ বলে করছেন ৫০ রান। ৩টি চার ও ২টি ছয়ে সাজানো তার ইনিংস।
বল হাতে সবচেয়ে সফল শাহিন শাহ আফ্রিদি। পাকিস্তানি এই পেসার ২৮ রানে নিয়েছে ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন হারিস রউফ ও হুসেইন তালাত।
খবরটি শেয়ার করুন