ছবি: সংগৃহীত
সরকারের প্রণোদনা দেয়ার ফলে পিরোজপুরে আউশ চাষ এবং চাল উৎপাদনের পরিমাণ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলতি আউশ মৌসুমে পিরোজপুরে ১৯ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে আউশ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সাথে চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ হাজার ৯ শত মে:টন। আউশের ৪টি জাত হাইব্রীড, উফসী, স্থানীয় এবং বোনা মিলিয়ে চাষের জমি এবং চাল উৎপাদনের এ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পিরোজপুর জেলা কার্যালয়।
হাইব্রীড চাষের এবং চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৭ হেক্টরে ১১৯ মে:টন, উফসী’র ১৪ হাজার ৫৫০ হেক্টরে ৩৯ হাজার ৭৮১ মে:টন চাল, স্থানীয় জাতের ১ হাজার ৮৯৩ হেক্টরে ২ হাজার ৩৮৯ মে:টন এবং বোনা আউশ ৩ হাজার ১২০ হেক্টরে ৮ হাজার ৬১১ মে:টন চাল।
কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পিরোজপুর জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অরুন রায় জানান, জেলার ৭ উপজেলায় আউশ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৪ হাজার কৃষককে ৯৫ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা প্রনোদনা দেয়া হয়েছে। সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এ বরাদ্দের অর্থ দিয়ে ১৪ হাজার কৃষককে ১৪ হাজার বিঘার জন্য বীজ ও সার প্রদান করেছে।
আরো পড়ুন: দিনাজপুরে এবার ৫০০ কোটি টাকার লিচু বিক্রির আশা
প্রতি বিঘা জমিতে উচ্চ ফলনশীল আউশ আবাদের জন্য প্রতিজন কৃষককে ৫ কেজি উন্নত মানের বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার ও ১০ কেজি এমওপি সার দেয়া হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পিরোজপুরের উপ-পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম জানান, সরকার এ জেলায় আউশ চাষের প্রণোদনা সহায়তা দেয়ায় আউশ চাষীদের মধ্যে ব্যপক উৎসাহ পরিলক্ষিত হচ্ছে এবং এর ফলে আউশ চাষের জমি ও চাল উৎপাদনের পরিমাণ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবং বন্যা, ঘুর্ণিঝড়, খরা, জ্বলোচ্ছাসের মত প্রাকৃতিক দুর্যোগ না এলে চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করা সম্ভব হবে বলেও উপ-পরিচালক জানান।
পিরোজপুর সদর উপজেলার রায়েরকাঠী গ্রামের আউশ চাষী রতন ঢালী জানান সরকারি প্রণোদনার সার বীজ চাষীদের আউশ চাষে আকৃষ্ট করে।
এসি/ আই.কে.জে/