ফাইল ছবি (সংগৃহীত)
এক মাস সিয়াম সাধনার পর সোমবার (৩১শে মার্চ) সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপন করবেন দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। এরই মধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে ঈদের আবহ। ঈদের আগের রাতে রেডিও-টেলিভিশনে বেজে চলেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কালজয়ী সেই গান, ‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশীর ঈদ...।’
রোববার (৩০শে মার্চ) বিকেল থেকে অগণিত দৃষ্টি আকাশে খুঁজেছে এক ফালি বাঁকা চাঁদ। অবশেষে কাঙ্ক্ষিত সেই চাঁদের দেখা মিলেছে। দেশবাসী মেতেছে ঈদের আনন্দে। সরকারি ঘোষণার পাশাপাশি টিভি-বেতারে বাজতে শুরু করে জাতীয় কবি কাজী নজরুলের গানের সুর।
ঈদের দিনটি ধনী-গরিব, আশরাফ-আতরাফ-নির্বিশেষে সবাইকে এক কাতারে দাঁড় করায়। এদিক থেকে ঈদ কেবল আনন্দের বার্তাই নিয়ে আসে না, উদ্ভাসিত হয় ইসলামের সাম্যের এক বড় পরিচয়।
ইসলামের ধর্মীয় বিধান অনুসরণ করা হয় সাধারণত হিজরি বর্ষপঞ্জির চান্দ্র মাসের হিসাবে। ২৯ রমজান রোববার সন্ধ্যায় বাংলাদেশে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি বৈঠকে বসে। বাংলাদেশের আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়। ফলে ২৯ রমজান শেষে আজ ঈদুল ফিতর উদ্যাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
রোববার (৩০শে মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছে। তাতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সকলকে আনন্দময় ঈদ মোবারক জানাচ্ছি। আশা করি, ঈদের সময় আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে আপনাদের বাড়িতে যেতে পারবেন এবং আপনাদের পরিবারের সাথে আনন্দের সাথে ঈদ উদ্যাপন করবেন।’
ঈদের দিনে সারাদেশে বাড়ি বাড়ি সাধ্যমতো উপাদেয় খাবার রান্না করা হবে। বাড়ির ছোট সদস্যদেরই আনন্দ-উদ্দীপনা হবে বেশি। নতুন পোশাকে সেজেগুজে তারা বেড়াতে যাবে আত্মীয়স্বজনের বাড়ি। ঈদের দিনটি যেমন আনন্দের, তেমনি প্রার্থনারও।
পুরুষরা সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে গোসল-অজু করে দীর্ঘ এক মাস পর দিনের শুরুতে মুখে খাবার তুলবেন। যাত্রা করবেন ঈদের জামাতে অংশ নিতে। নামাজ শেষে বুকে বুক মেলাবেন পাশের জনের সঙ্গে। তারপর অনেকেই যাবেন কবরস্থানে, চিরতরে ছেড়ে যাওয়া প্রিয়জনের বিদেহী আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনা করতে।
ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা পবিত্র রমজানে এক মাস রোজা পালন করে জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করবেন। রাজধানীসহ সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে ঈদ জামাতের প্রস্তুতিও ইতিমধ্যে নেওয়া হয়েছে।
এবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ব্যবস্থাপনায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। আবহাওয়া প্রতিকূল বা অন্য কোনো অনিবার্য কারণে এ জামাত অনুষ্ঠান সম্ভব না হলে সকাল ৯টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
এইচ.এস/
খবরটি শেয়ার করুন