বুধবার, ৩রা জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া সেই শিশুর পরিচয় মিলেছে

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন, ১২ই মে ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ভালুকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মা ও বেঁচে যাওয়া শিশুর পরিচয় মিলেছে। দেড় বছর বয়সী শিশুটির নাম মেহেদী হাসান। নিহত ওই মায়ের নাম জায়েদা খাতুন (৩২)। তিনি সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার খুশিউড়া গ্রামের মো. রমিজ উদ্দিনের মেয়ে।

শনিবার (১১ই মে) রাত ১১টার দিকে ভালুকা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন। 

তিনি জানান, জায়েদা খাতুন ভালুকার স্কয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকায় দেড় বছর বয়সী শিশুসন্তান মেহেদীকে নিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। জায়েদা খাতুনের দ্বিতীয় বিয়ে হয় নরসিংদীর পলাশ থানার গজারিয়া ইউনিয়নের কফিল উদ্দিনের ছেলে মো. ফারুক মিয়ার সঙ্গে। তবে ফারুক মিয়ার আরও এক স্ত্রী ও তিন সন্তান রয়েছে। এই কারণে তার দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়টি পরিবার মেনে নেয়নি। ফলে স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ না থাকায় ভালুকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন জায়েদা।

নিহত জায়েদার বড় ভাই মো. রবিন মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে আমরা তার মৃত্যুর খবর পেয়েছি। এখন থানা পুলিশের সঙ্গে কথা বলে মরদেহ নিতে আসবো।

আরো পড়ুন: ময়লার ঝুড়িতে মিলল ৭ স্বর্ণের বার

জায়েদা খাতুনের স্বামী ফারুক মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি ট্রাক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। সাত-আট বছর আগে জায়েদাকে বিয়ে করি। তবে পরিবার বিষয়টি মেনে নেয়নি। এরপর থেকে জায়েদা বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করতো। ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পারি জায়েদা মারা গেছে। জায়েদার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। তার ভাই সুনামগঞ্জ থেকে মরদেহ নিতে আসছেন বলে জানতে পেরেছি।

গত ৯ই মে রাত ৩টার দিকে ভালুকা উপজেলার স্কয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন জায়েদা। শিশুটি বেঁচে গেলেও সে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়। বতর্মানে শিশুটিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের চিকিৎসক ফারজানা গণমাধ্যমকে বলেন, শুক্রবার (১০ই মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মায়ের মৃত্যু হয়েছে। এখন অবুঝ শিশুটি কান্নাকাটি করছে। তবে আমরা তার চিকিৎসা নিয়মিত মনিটরিং করছি।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. মাইন উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, আমরা নিয়মিত শিশুর খোঁজখবর নিচ্ছি। আল্লাহর রহমতে শিশুটি সুস্থ আছে। ওয়ার্ডে কর্মরত কর্মীরা তার দেখভাল করছেন।

এইচআ/ আই.কে.জে/ 

শিশু পরিচয়

খবরটি শেয়ার করুন