ছবি: সংগৃহীত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লালপুরের শুটকি পল্লীতে তিতাস, মেঘনা নদীসহ বিস্তীর্ণ হাওড়াঞ্চল থেকে বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছ সংগ্রহ করে প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি হচ্ছে শুটকি। এসব শুটকি ভারত ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়ে থাকে।
আশ্বিন থেকে শুরু করে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত প্রায় ৬ মাস ধরে চলে এখানে শুটকি তৈরির কাজ। এখানকার শুটকির প্রক্রিয়া প্রাকৃতিকভাবে হওয়ায় সারাদেশে এর কদর রয়েছে।
বাংলাদেশে মিঠা পানির শুটকির একটি বড় অংশ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উৎপাদিত হয়। জেলা সদর ছাড়াও নাসিরনগর ও আশুগঞ্জ উপজেলার প্রায় আড়াইশ মাচায় এখন চলছে শুটকি প্রক্রিয়াকরণের কাজ। এর মধ্যে লালপুরে রয়েছে প্রায় ৯০টি মাচা।
তিতাস, মেঘনা নদীসহ বিস্তীর্ণ হাওড়াঞ্চল থেকে সংগৃহীত মাছ প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে এখানে তৈরি হচ্ছে পুঁটি, শৈল, গজার, বাইম, বজুরি, টেংরা, বোয়ালসহ বিভিন্ন মাছের শুটকি। এসব শুটকি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন সহস্রাধিক নারী-পুরুষ।
শুটকি ব্যবসায়ী রঞ্জন দাস বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়ায় বেশি দামে মাছ কিনতে হচ্ছে। এছাড়া শুটতি প্রকিয়াকরণের অন্যতম উপাদান লবণসহ অন্যান্য উপকরণের দামও বেড়ে গেছে। সে সঙ্গে বেড়েছে পল্লীতে কাজ করা শ্রমিকদের মজুরি। তাই বর্তমানে এ পেশায় টিকে থাকতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
আরো পড়ুন: অভিযানের পর কমেছে চালের দাম
আরেক ব্যবসায়ী ছিদ্দিক মিয়া জানান, উৎপাদন ব্যয় বাড়লেও শুটকির দাম তুলনামূলক না বাড়ায় বর্তমানে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে জেলায় প্রায় ২ হাজার টন শুটকি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। নিরাপদ শুটকি তৈরির পাশাপাশি শুটকি ব্যবসায়ীদের লাভবান করতে নানা রকম উদ্যোগ অব্যাহত আছে।
এসি/ আই. কে. জে/