বুধবার, ৩রা জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পিরিয়ডের সময় কিছু করণীয়

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৮:৩২ অপরাহ্ন, ২রা জুন ২০২৪

#

প্রতীকি ছবি : সংগৃহীত

পিরিয়ডের সমস্যাটা এখনকার যুগে খুব সাধারণ একটি সমস্যা। এ সময় মুড সুইং, যন্ত্রণা, খিদে না পাওয়া খুবই সাধারণ সমস্যা। এই সময় আমরা অবহেলা করি শরীরের। এজন্য শরীর আরও দুর্বল হয়ে পড়ে। অথচ এই সময়ই শরীরের সবচেয়ে বেশি যত্নের প্রয়োজন। বিশ্রাম ও হালকা খাবারের পাশাপাশি দুর্বলতা কাটাতে ডায়েটের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। জেনে নিন এই সময় আপনার ডায়েটে কী কী খাবার অবশ্যই রাখতে হবে।

শাক-সবজি

সবুজ শাক-সবজি না খেলেও এই দিনগুলোয় অবশ্যই খেতে হবে। বিশেষ করে অবশ্যই খান লালশাক। পাতে অবশ্যই রাখবেন সালাদ। এই সময় শরীরের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন আয়রন।

সামুদ্রিক মাছ

সামুদ্রিক মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ওমেগা থ্রি, ফ্যাটি অ্যাসিড। যা পেশি রিল্যাক্স করে আপনাকে ঘু্মাতে সাহায্য করে। বিশ্রামের ফলে দুর্বলতা কাটে। যদি মাছ খেতে ইচ্ছা না করে তা হলে আখরোট খেতে পারেন।

চকলেট

না মিল্ক চকলেট বা চকলেট কেক নয়। এই সময় খান ডার্ক চকলেট। পিরিয়ডের সময় শরীরে ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি হয়। আর ডার্ক চকলেটের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ম্যাগনেশিয়াম। সেই সঙ্গেই এর মধ্যে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট দুর্বলতা কাটাতে সাহায্য করে।

শস্যদানা

চকলেটের মধ্যেই দানা শস্যও ম্যাগনেশিয়ামে পরিপূর্ণ। যা পেশির রিল্যাক্স করতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গেই ভিটামিন ‘বি’ ও ‘ই’ থাকার কারণে ক্লান্তি ও অবসাদ কাটাতে সাহায্য করে। এই সময় তাই ডায়েটে যতটা সম্ভব শস্যদানা রাখুন।

দই

এই সময় যত পারেন দই খান। শরীরের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মেটাবে দই। হজমেও সাহায্য করে। দই খেতে ইচ্ছা না হলে আমন্ড খেতে পারেন। এই দুই খাবারও ক্যালসিয়ামের উৎকৃষ্ট উৎস।

আরো পড়ুন : ফল খেলে কি সত্যিই ঘুম ভালো হয়?

কলা

পটাশিয়াম ও ভিটামিন ‘বি৬’ র সবচেয়ে উৎকৃষ্ট উৎস। যা পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। পিরিয়ডের সময় মুড সুইংয়ের কারণে অনেকেই হজমের সমস্যায় ভোগেন। এই সময় ডায়েটে কলা রাখলে এই সমস্যা কমতে পারে।

পানি

পিরিয়ডকালে রক্তের পাশাপাশি অনেক পানি বা তরল বের হয়ে যায়। তাই প্রতিদিন প্রচুর পানি পান করতে হবে।  চা, কফিসহ যেকোনো কোমল পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে।

ফলমূল

শরীরে আয়রনের শোষণরোধে ভিটামিন ‘সি’ জরুরি। পেয়ারা, আমড়া, আমলকি, লেবু, জলপাই, জাম্বুরা ও পাকা টমেটোয় আছে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’।

এই সময় নিজের যত্ন নেবেন যেভাবে

পরিবারের প্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের মাসিকচক্রের বিষয় থেকেই ধারণা দিতে হবে এবং এ সময় তাকে মানসিকভাবে চাঙা রাখতে পর্যাপ্ত সঙ্গ দিতে হবে।

মাসিক চলাকালীন রাত জাগবেন না। এতে শরীর আরও ক্লান্ত হয়ে পড়তে পারে। একইসঙ্গে ঋতুস্রাবজনিত অস্বস্তিও বাড়তে পারে।

মাসিক চলাকালীন ডিম খেতে হবে। পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর খাবার যেমন ভাজাপোড়া, তেল-চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে। এ সময় দই, দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার খেলে গ্যাস্ট্রিকসহ কোষ্ঠকাঠিন্যও দেখা দিতে পারে।  

এ সময় অতিরিক্ত কফি খাবেন না। উচ্চ মাত্রায় ক্যাফেইন পেটে ব্যথা বাড়িয়ে তুলতে পারে। স্যানিটারি প্যাড ছাড়া ঘুমোতে যাবেন না। যদি প্যাড পরে শুতে অস্বস্তি হয় তাহলে আরামদায়ক প্যাড ব্যবহার করুন।

মাসিকের কারণে আবার শরীরচর্চা বন্ধ করবেন না বরং মাসিকের সময় শরীরচর্চা করলে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়। এ সময় দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকবেন না। যেহেতু মাসিকের সময় শরীর থেকে বেশ খানিকটা রক্ত বেরিয়ে যায়, তাই এ সময় পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত।

কখন চিকিৎসকের পরামর্শ জরুরি

অনিয়মিত মাসিক

মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ

মাসিকের সময় তীব্র ও অসহনীয় পেটে ব্যথা।

মাসিকের সময় অস্বাভাবিক জ্বর ও দুর্বলতা।

এস/ আই.কে.জে/

পিরিয়ড টিপস

খবরটি শেয়ার করুন