রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৪শে ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** নিউইয়র্কে মোদির সঙ্গে বৈঠক করতে চান ড. ইউনূস *** বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ, সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত *** সরকারের সুস্পষ্ট আশ্বাস ছাড়া আন্দোলন চালিয়ে যাবেন চাকরিপ্রত্যাশীরা *** খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে *** সীমান্তে পিঠ প্রদর্শন করবেন না, বিজিবিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা *** আমিরাতে ক্ষমা পাওয়া ১৪ বাংলাদেশি দেশে ফিরবেন আজ *** এইচএসসি ২০২৪ পরীক্ষার্থীদের জন্য সংশোধিত নির্দেশনা *** চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগ অবরোধ *** আন্দোলনে আহতদের দেখতে হাসপাতালে প্রধান উপদেষ্টা *** রাঘব বোয়ালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা আরও দৃশ্যমান হবে : অর্থ উপদেষ্টা

ফলের রস নাকি পুরো ফল, কোনটি খাওয়া ভালো?

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:১৮ অপরাহ্ন, ২৭শে জুলাই ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

শরীরে পুষ্টি জোগাতে ফলের জুড়ি নেই। এ কারণে বিশেষজ্ঞরা দিনে অন্তত একটা হলেও ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন। সম্পূর্ণ ফলে প্রচুর ফাইবার বা আঁশ থাকে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। অন্যদিকে ফলের রসে বেশির ভাগ ফাইবার চলে যায়। এ ছাড়া ফলের রস বা জুস বিভিন্ন উপায়ে গ্রহণ করা হয়। এটি তৈরির সময় কোন কোন উপাদান, যেমন লবণ, চিনি, মসলা ইত্যাদি যোগ করছেন ও কতটুকু গ্রহণ করছেন, সেটির ওপর নির্ভর করে স্বাস্থ্যগত উপকারিতা-অপকারিতা।

পুরো ফল চিবিয়ে খাওয়া, হজম ও শোষিত হওয়ার প্রক্রিয়ায় বেশ সময় নেয়। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা ধীরগতিতে বৃদ্ধি করে। অন্যদিকে, ফলের রস চিবিয়ে খেতে হয় না এবং এটি পরিপাকতন্ত্রে প্রবেশ করে রক্তে দ্রুত গ্লুকোজের মাত্রা বাড়িয়ে তুলে।

পুরো ফলের চেয়ে ফলের রসে বেশি ক্যালরি থাকে। কারণ, এক গ্লাস ফলের রস তৈরি করতে বেশ কয়েকটি ফল লাগে। যদি চিনি যোগ করা হয়, তবে আরও ক্যালরি বাড়বে। এই অতিরিক্ত ক্যালরি ওজন বাড়াতে পারে।

ফলের ভেতর প্রাকৃতিক ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। জুস পান করলে পুষ্টির ঘাটতি হতে পারে। বিশেষ করে ভিটামিন সি-এর মতো পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন কমে যায়। যেমন:- একটি পুরো গাজরে ভিটামিন সি ৮ মিলিগ্রাম থাকে, যেখানে একটি গাজরের রসে থাকে ২ মিলিগ্রাম।

আরো পড়ুন : কতটা দূর থেকে টেলিভিশন দেখা উচিত?

খাওয়ার সঠিক নিয়ম

১. খোসাসহ বা চামড়াযুক্ত ফল খাওয়া ভালো। কারণ, ফলের চামড়ায় ফ্ল্যাভোনয়েড ও ফাইবার থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এ ছাড়া ফল কেটে কিছুক্ষণ বাইরে খোলা রেখে দিলে পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়।

২. ফলের রস একবারে না গিলে চামচ দিয়ে ধীরে ধীরে খাওয়া উচিত। কারণ, লালায় যে পাচক রস থাকে, তা রসের মধ্যে থাকা চিনি হজম করতে সাহায্য করে।

৩. চিনি, লবণ, মসলা যোগ করে ফল বা জুস পান না করা ভালো।

৪. ফল খেতে হবে দুই খাবারের মধ্যবর্তী সময়, অর্থাৎ বেলা ১১টার দিকে বা বিকেল ৪টা থেকে ৫টায়। কেননা মূল খাবারের সঙ্গে খেলে, বিশেষ করে ডায়াবেটিসের রোগীদের রক্তে গ্লুকোজ বাড়তে পারে।

সতর্কতা

১.ফলের অতিরিক্ত রস খেলে ওজন বাড়তে পারে।

২.ঘন ঘন চিনিযুক্ত ফলের রস খেলে দাঁতের গহ্বর, দাঁতের এনামেল ক্ষয়ের ঝুঁকি বাড়তে পারে।

৩.অতিরিক্ত ফলের রস খেলে ফলে থাকা প্রাকৃতিক শর্করা ও অ্যাসিড মুখের মধ্যে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করতে পারে।

৪.বাইরে তৈরি ও বাজারের প্যাকেটজাত জুসের পরিবর্তে ঘরে তৈরি জুস স্বাস্থ্যসম্মত। কারণ, প্যাকেটজাত জুসে কৃত্রিম চিনি, রং, ফ্লেভার, প্রিজারভেটিভ মেশানো থাকে। এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়।

৫.ফলের রস খাওয়ার পরিমাণ হলো সাধারণত ৪ থেকে ৬ আউন্স বা ১২০ থেকে ১৮০ মিলি।

এস/ আই.কে.জে/


ফল ফলের রস

খবরটি শেয়ার করুন