ছবি: সংগৃহীত
১৯৬৬ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত গ্রিনল্যান্ডের শতাধিক নারী ও কিশোরীর ওপর জোরপূর্বক একটি জন্মনিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি চালায় ডেনমার্ক। এ ঘটনার প্রায় ৩০ বছর পর দোষ স্বীকার করেছে ডেনমার্ক। সে সঙ্গে গ্রিনল্যান্ডের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন। খবর রয়টার্সের।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স ২০২২ সালে প্রকাশ হওয়া একটি নথির বরাতে জানিয়েছে, ওই সময় ১৩ বছর বয়সী কিশোরী থেকে শুরু করে হাজার হাজার নারীকে তাদের অজ্ঞাতসারে বা সম্মতি ছাড়াই ইন্ট্রাউটেরাইন ডিভাইস (আইইউডি—একধরনের বন্ধ্যাকরণ প্রক্রিয়া) পরানো হয়েছিল। ১৯৯১ সালে গ্রিনল্যান্ড নিজের স্বাস্থ্যব্যবস্থার দায়িত্ব পাওয়ার পর এ কর্মসূচি বন্ধ হয়।
প্রধানমন্ত্রী ফ্রেডেরিকসেন বলেন, ‘আমরা অতীতের ঘটনা পরিবর্তন করতে পারব না। কিন্তু আমরা দায়িত্ব নিতে পারি। তাই, ডেনমার্কের পক্ষ থেকে আমি বলতে চাই—আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।’
এ ক্ষমাপ্রার্থনা ডেনমার্ক ও তার আধা স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গ্রিনল্যান্ডের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের একটি বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ। একই সঙ্গে এটি আমেরিকার গ্রিনল্যান্ড দখলের আগ্রহকেও মোকাবিলা করতে সাহায্য করছে।
প্রসঙ্গত, সেদিনই ডেনমার্ক কোপেনহেগেনে অবস্থিত আমেরিকান কূটনীতিকের সর্বোচ্চ পদাধিকারীকে তলব করে। ড্যানিশ গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অভিযোগ করা হয়েছে, আমেরি নাগরিকেরা গ্রিনল্যান্ডে গোপনে প্রভাব বিস্তারের কার্যক্রম চালাচ্ছেন।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন