রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৪শে ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** নিউইয়র্কে মোদির সঙ্গে বৈঠক করতে চান ড. ইউনূস *** বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ, সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত *** সরকারের সুস্পষ্ট আশ্বাস ছাড়া আন্দোলন চালিয়ে যাবেন চাকরিপ্রত্যাশীরা *** খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে *** সীমান্তে পিঠ প্রদর্শন করবেন না, বিজিবিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা *** আমিরাতে ক্ষমা পাওয়া ১৪ বাংলাদেশি দেশে ফিরবেন আজ *** এইচএসসি ২০২৪ পরীক্ষার্থীদের জন্য সংশোধিত নির্দেশনা *** চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগ অবরোধ *** আন্দোলনে আহতদের দেখতে হাসপাতালে প্রধান উপদেষ্টা *** রাঘব বোয়ালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা আরও দৃশ্যমান হবে : অর্থ উপদেষ্টা

মনকে শান্ত রাখুন তিনটি ধাপে

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:২৯ পূর্বাহ্ন, ২৫শে জুলাই ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

আমরা প্রত্যেকে নিত্যদিন চলার পথে নানা ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার মুখোমুখি হই। মানসিক চাপ বোধ করি। এই মানসিক চাপ তীব্র হলে আমাদের মধ্যে একধরনের অতি-উত্তেজনা কাজ করে। ফলে দৈনন্দিন কাজে মনোযোগ দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এই সময়টিতে সাধারণত মস্তিষ্কের যৌক্তিক অঞ্চল নিষ্ক্রিয় থাকে। আমরা মস্তিষ্কের আবেগীয় অঞ্চল দ্বারা তাড়িত হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি (বা আচরণ করি), যা আমাদের বিপদ ও ভোগান্তির মাত্রাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।  অতি-উত্তেজনা বা বোধশক্তিহীনতা থেকে স্বাভাবিক মাত্রার উত্তেজনায় ফিরে আসা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই মনকে শান্ত রাখা জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক মনকে শান্ত রাখার ৩টি ধাপ সম্পর্কে-

১. একটু থামি: কিছু ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই সাময়িক উত্তেজনায় কোনো কিছু করা থেকে বিরত থাকব। অনুভূতি খেয়াল করব। শরীরের কোথায় কেমন লাগছে, খেয়াল করব। যেমন বুক ধড়ফড় করছে কি না; হাত–পা কাঁপছে কি না; মাথা, ঘাড় বা শরীরের আর কোথাও কোনো অস্বস্তি হচ্ছে কি না, গভীর মনোযোগ দিয়ে খেয়াল করব। সাময়িক এই বিরতির মূল উদ্দেশ্য হলো মস্তিষ্কের যৌক্তিক ও সমস্যা সমাধানকারী অংশকে সক্রিয় হওয়ার জন্য সময় দেওয়া।

আরো পড়ুন : মশা ও পোকামাকড় ঘরে ঢুকতে পারবে না যেসব গাছ লাগালে

২. অক্সিজেন ও পানি: কোনো কিছু ঘটার পর আমরা যখন অস্থির বা নিস্তেজ বোধ করি, তখন আমাদের শরীরে অক্সিজেন ও পানির স্বল্পতা সৃষ্টি হয়। এসব মুহূর্তে তাই অনেকেরই ঠোঁট ও গলা শুকিয়ে যায়, দমবন্ধ বোধ হয়। এ সময় পানি পান করে এবং গভীরভাবে অন্তত তিন থেকে পাঁচ জোড়া শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে শরীরে অক্সিজেন ও পানির ঘাটতি পূরণ করা যায়। নাক দিয়ে ধীরে ধীরে নি:শ্বাস নিতে হবে এবং ছাড়ার সময় মুখ দিয়ে ধীরে ধীরে ছাড়তে হবে। গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে অসুবিধা হলে শুধু শ্বাস–প্রশ্বাসে মনোযোগ দেওয়া যেতে পারে। এটিকে বলা হয় মাইন্ডফুল ব্রিদিং। অর্থাৎ স্বাভাবিকভাবে শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় নাকের ডগায় কেমন অনুভূতি হচ্ছে সূক্ষ্মভাবে তা খেয়াল করা। এভাবে শরীরে পানি ও অক্সিজেন সরবরাহ করলে কিছুক্ষণের মধ্যেই শরীর ও মন দুটোই শান্ত হয়ে যাবে।

৩. মমতা মাখানো কিছু কথা: যেকোনো পরিস্থিতিতে আমরা কেমন বোধ করব, তা অনেকাংশে নির্ভর করে আমরা মনে মনে নিজেকে কী বলছি, কীভাবে বলছি তার ওপর। কঠিন পরিস্থিতিতে নিজেকে সামলে নিয়ে সমস্যা সমাধানের জন্য প্রস্তুত করতে, নিজের প্রতি আমাদের সদয় হওয়া প্রয়োজন। নিজেকে মমতামাখানো কিছু কথা বলা প্রয়োজন। তাই কঠিন পরিস্থিতিতে নিজের যত্ন নিয়ে, নিজের প্রতি সদয় থেকে, (নিজেকে) মমতাপূর্ণ কিছু কথা বললে সহজেই নিজের সঙ্গে সংযোগ তৈরি করা যায়। আর সেই সঙ্গে সমস্যা সমাধানের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা সহজ হয়ে যায়।

এস/ আই.কে.জে

টিপস মন

খবরটি শেয়ার করুন