ছবি: সংগৃহীত
মাহবুব কামাল
কী এক ধাঁধায় পড়ে
গ্রহণ করেছিলাম তোমাকে!
ভেবেছিলাম, জেন-জি যেহেতু
স্মার্ট হবে নিশ্চয়ই।
কিন্তু ক্রমেই দেখছি
তোমার স্মার্টনেসের সংজ্ঞা
একেবারেই আলাদা।
রবীন্দ্রনাথকে বাদ দিয়ে
স্মার্ট হওয়া যায়?
দরদী কণ্ঠে, হৃদয়ের সব দরোজা
খুলেও তোমাকে কিছুতেই
ফেরানো গেল না রবীন্দ্রনাথে!
সেদিন বললাম,
এই দুর্দিনে কিছু সাহসী নর-নারী
আয়োজন করেছে
রবীন্দ্রনাথের চিত্রাঙ্গদার, চলো
শিল্পকলায় যাই।
বললে, তুমি নাকি ওই সময়
ওয়েব সিরিজ দেখবে!
গতকাল সরাসরিই বলেছো,
রবীন্দ্রনাথ তোমার পছন্দ না!
অথচ দেখো, কীভাবে তিনি
জড়িয়ে আছেন তোমার জীবনেও।
কৃষ্ণবর্ণ বলে তোমার যত খেদ
সৃষ্টিকর্তাকেও দোষারোপ করেছো অনেক।
আসলে সৌন্দর্যজ্ঞান বলতে
তোমার কিছু নেই।
কৃষ্ণবর্ণের মেয়েরা কি
বিশ্বসুন্দরী হয় না?
দেখো, রবীন্দ্রনাথ কীভাবে দাঁড়িয়েছে
তোমার পাশে।
লিখেছেন, তা সে যতই কালো হোক
দেখেছি তার কালো হরিণ চোখ!
রবীন্দ্রনাথকে ধার করে
আমি টেক্সট করি
জানো একেলা কাহারে বলে?
যবে ভরা মন নিয়ে বসে আছি
দিতে চাই, নিতে কেহ নাই!
আর তুমি কিনা লেখো
আই ফিল লোন উইদাউট ইউ!
তুমি বোঝো না
রবীন্দ্রনাথ আমাদের জন্য আশীর্বাদ
সেদিন যখন গাইলাম
তুমি সন্ধ্যারও মেঘমালা
আর ওমনি মেঘমল্লার শাস্ত্রীয় রাগে
অঝোর ধারায় নেমেছে বৃষ্টি।
ঠিক করে বলো তো,
তোমার ভালো লাগেনি তখন?
আবার দেখো, তোমার কাছে
স্বপ্ন-টপ্ন বলে কিছু নেই
আর তাই, আমি যখন গাই
যে ছিল আমার স্বপনচারিণী
তখন তুমি, বাস্তবের দিকে
চোখ ফেরাতে বলো।
তুমি আসলে সুন্দরের ভুবনে
ঢুকতেই চাও না।
তুমি কৃষ্ণবর্ণের মেয়ে,
কালো রঙের কার্বন থেকে
তৈরি হয় উজ্জ্বল হীরক
আবার এই কার্বনই
রূপ নেয় ধূসর গ্রাফাইটে।
তুমি হতে পারতে
আলো ছড়ানো হীরক
হয়েছো গ্রাফাইট।
তুমি চলে যাও প্রিয়তমা
রবীন্দ্রনাথকে ছাড়তে পারবো না আমি।
আরএইচ/
খবরটি শেয়ার করুন