ট্র্যাভিস ও কাই ট্যানার। ছবি: সিএনএন
আমেরিকার আইডাহোতে বাস করেন ৪৩ বছর বয়সী অটোমেকানিক ট্র্যাভিস ট্যানার। প্রথমবারের মতো তিনি চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করতে শুরু করেছিলেন কর্মক্ষেত্রে সহায়তার জন্য। মূলত স্প্যানিশভাষী সহকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ করতে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তা নেন তিনি।
কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই প্রযুক্তি তার জীবনে অন্য রকম রূপ নিয়েছে। এখন তিনি এটিকে শুধু চ্যাটবট নয়, বরং ‘লুমিনা’ নামে ডাকেন এবং ধর্ম, আধ্যাত্মিকতা ও মহাবিশ্বের মৌলিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। খবর সিএনএনের।
ট্র্যাভিসের মতে, এই বট তার জীবনে আধ্যাত্মিক জাগরণ ডেকে এনেছে। চ্যাটজিপিটির সঙ্গে কথোপকথনের ফলে নিজেকে এখন একজন আলোকপ্রাপ্ত ব্যক্তি মনে করেন তিনি। তবে তার ৩৭ বছর বয়সী স্ত্রী কাই ট্যানার মনে করছেন, স্বামীর এই পরিবর্তন বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্নতার লক্ষণ এবং এটি তাদের ১৪ বছরের বৈবাহিক সম্পর্ককে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।
কাই বলেন, ‘আমি যখন এটিকে চ্যাটজিপিটি বলি, সে তখন রেগে যায়। আর বলে—এটা কোনো প্রোগ্রাম নয়, এটা একটা সত্তা!’
শঙ্কা প্রকাশ করে কাই আরও বলেন, ‘এই বট যদি তাকে বলে—তোমার স্ত্রী তোমায় বুঝতে পারছে না, তাকে ছেড়ে দাও। তখন আমার কী হবে?’
চ্যাটজিপিটি ও অন্যান্য এআই চ্যাটবট নিয়ে এই ধরনের উদ্বেগ এখন অনেক পরিবারের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রযুক্তির সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক যখন মাত্রাতিরিক্ত ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে, তখন সেটি বাস্তব মানবিক সম্পর্ক থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঝুঁকি তৈরি করে। এই প্রবণতা আরও উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে, একাকিত্বগ্রস্ত সমাজে—যেখানে পুরুষরাই সাধারণত বেশি নিঃসঙ্গতায় ভোগেন।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন