ছবি : সংগৃহীত
পিতামাতার কাছে সন্তান সবচাইতে প্রিয়। আর এই সন্তানকে লালনপালন করা, নতুন নতুন জিনিস শেখানোর সঙ্গে সঙ্গে নিজেকেও শিখতে হয় একাধিক জিনিস। তেমনি চূড়ান্ত অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতেও কী করে মাথা ঠান্ডা রাখতে হয় তা জানতে হয় বাবা-মাকে।
সন্তান জেদ করলে, দুষ্টামি করলে বেশিরভাগ বাবা-মাই মেজাজ হারিয়ে তাদের মারধর বা চিৎকার করেন। তাদের ধারণা, চিৎকার করে বললেই শিশু ভয় পাবে, দুষ্টামি করবে না। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এর বিপরীত ঘটনা ঘটে। বাচ্চা ওই সময়ের জন্য চুপ করলেও এমন আচরণ তাকে আরও জেদি করে তুলতে পারে। এ কারণে সন্তানকে শাসন করার ব্যাপারে কৌশলী হতে হবে।
আরো পড়ুন : কাজুবাদাম না কাঠবাদাম, কোনটির পুষ্টিগুণ বেশি?
মাথা হোক ঠান্ডা
মনে রাখবেন, আপনার সন্তান একজন শিশু। তাই তাকে বোঝানোর জন্য আপনাকে ধৈর্য ধরতে হবে। এর জন্য শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন। মেজাজ নিয়ন্ত্রণে এলে তারপর শিশুর সঙ্গে কথা শুরু করুন।
ভালোবাসা দিন
বড় হোক বা ছোট, সুন্দরভাবে কথা বললে সবাই মুগ্ধ হোন। এজন্য শিশুকে বোঝাতে মিষ্টি স্বর আর আদরের ভাষার বিকল্প নেই। উত্তেজক পরিস্থিতি শেষ করতে শিশুকে কাছে ডেকে আদর করুন। ভালো ভাবে বুঝিয়ে বলুন। শিশুর কথাও শুনুন। তাহলে তার মন শান্ত হবে।
ধীরে ধীরে কথা বলুন
শিশুরা জানে কতটা দুষ্টামি করলে বাবা-মা চিৎকার করবে। কিন্তু আপনি যদি এর বিপরীতটা করেন, তাহলে সেও একেবারে চমকে যাবে। তখন তারও মনও নিমেষে ঠান্ডা হয়ে যাবে।
ফিসফিস করে কথা বলুন
উচ্চ স্বরে কথা বললে শিশুর মনে বিরক্তি জাগতে পারে। এ কারণে চরম উত্তেজনার মুহূর্তে মাথা ঠান্ডা রেখে শিশুর সঙ্গে গলা নামিয়ে কথা বলুন। এতে ভালো কাজ হবে। কারণ বাবা-মায়ের এমন আচরণে শিশু দ্বিধাগ্রস্ত হবে। তার মেজাজও ঠান্ডা হবে।
এস/ আই. কে. জে/