শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিশুকে নিউমোনিয়া থেকে কিভাবে বাঁচাবেন

সুবর্ণা আক্তার

🕒 প্রকাশ: ০৫:৩৪ অপরাহ্ন, ২৭শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪

#

ছবি : সুখবর

সুবর্ণা আক্তার

সারা বিশ্বে শিশুদের একটি প্রচলিত রোগের নাম নিউমোনিয়া। বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ৭ লাখ শিশুর মৃত্যু হয় এই রোগে। এর মধ্যে ৫ বছরের শিশুদের মৃত্যুর হার ১৪ শতাংশ। আমাদের দেশেও নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশুর মৃত্যুর সংখ্যা কম নয়। প্রতি ঘণ্টায় দুই থেকে তিনটি শিশু এবং বছরে প্রায় ২৪,০০০।

নিউমোনিয়া রোগটি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে প্রতিবছর ১২ই নভেম্বর বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস পালন করা হয়। শুধু বাচ্চাদের কথা ভেবেই পালন করা হয় এই দিবস।

নিউমোনিয়া কী?

নিউমোনিয়া হলো ফুসফুস ও শ্বাসনালীর সংক্রমণ। সাধারণত ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক সংক্রমণের কারণে এটি হয়ে থাকে। নিউমোনিয়া হলে শিশুর স্বাভাবিক শ্বাস প্রক্রিয়া ব্যাহত হয় এবং নানা রকমের শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। বর্ষাকাল ও শীতকালে এই রোগের প্রকোপ বেশি দেখা যায়।

কোন ধরনের শিশুদের নিউমোনিয়া আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি?

১. অপুষ্টির শিকার হলে।

২. হাম কাশি অর্থাৎ সংক্রমক রোগে আক্রান্ত হলে।

৩. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে।

৪. জন্মগতভাবে হৃদযন্ত্র বা ফুসফুস আক্রান্ত থাকলে।

আরো পড়ুন : দ্রুত গর্ভবতী হতে চাইলে যা করবেন

লক্ষণ-

 শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত কিনা বিশেষ কয়েকটি লক্ষণের মাধ্যমে প্রকাশ পায় যেমন,

১. জ্বর ও সাথে কাশি

২. জোরে জোরে শ্বাস নেওয়া

৩. বুকে ব্যথা

৪. নাকের ছিদ্র প্রশস্ত হওয়া

৫.খাওয়ায় অরুচি

৬. শরীরের রং পরিবর্তন হওয়া

৭. ঘন ঘন বমি বা ডায়রিয়া হতে পারে

৮. একদম ছোট বাচ্চা হলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি কান্না করা

৯.পাঁজরের নিচের অংশ ভেতরের দিকে চেপে বসা

১০. দুর্বল বা বেশি বেশি ঘুমানো

 প্রতিরোধ-

 ১. শিশুর এক বছরের মধ্যে সময়মত শিশুর সব টিকা, বিশেষ করে নিউমোনিয়ার টিকা দিতে হবে।

২. পরিবেশগত কারণগুলো মোকাবেলা করতে হবে যেমন:- ধোঁয়া হয় না এমন উন্নত চুলা ব্যবহার করা।

৩. হাঁচি কাশি আক্রান্তদের কাছ থেকে শিশুকে দূরে রাখা।

৪. শিশুকে স্পর্শ করার আগে হাত ধুয়ে নেওয়া।

৫. ছয় মাসের কম শিশুকে একটানা ছয় মাস মায়ের দুধ খাওয়ানো এবং ছয় মাসের বেশি হলে ঘরের তৈরি খাবার খাওয়ানো।

 চিকিৎসা

১. শিশু যদি খেতে পারে তাহলে মুখে অ্যামাক্রিসিলিন অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে বাড়িতেই চিকিৎসা নিতে পারবে। আর যদি খেতে না পারে তাহলে শিরায় অ্যান্টিবায়োটিক দিতে হবে।

২. অক্সিজেন থেরাপি দিতে হবে।

৩. বেশি অসুস্থ মনে হলে কিংবা খেতে না পারলে, বেশি শ্বাসকষ্ট হলে অথবা রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ৯২ শতাংশের নিচে নামলে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে।

পরিশেষে আমাদের সন্তানদের ওপর আরো যত্নশীল হওয়া উচিত, যাতে করে এই মরণঘাতক রোগ থেকে আমাদের আদরের সোনামণিদের রক্ষা করতে পারি।

"সকল শিশু ভালো থাক, নিউমোনিয়া রুখে যাক"

এস/ আই. কে. জে/ 

শিশুর নিউমোনিয়া

খবরটি শেয়ার করুন