বৃহস্পতিবার, ৩১শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৬ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ১৮৫ বছরের পুরোনো বুনো মহিষের শিং পাহাড়পুর জাদুঘরে হস্তান্তর *** প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের ৩৬তম সভা অনুষ্ঠিত *** শিক্ষকের বিকল্প হবে চ্যাটজিপিটি *** শক্তি ও মালিকানা যার হাতে, তাকেই ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে হবে: মির্জা ফখরুল *** পিআর পদ্ধতিতে হবে ১০০ সংসদীয় আসনের উচ্চকক্ষ, ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্ত *** কিছু দিনের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা: আইন উপদেষ্টা *** গোপালগঞ্জে কোনো প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করা হয়নি: সেনাসদর *** বিপুল বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ট্রাম্পের শুল্ক ১৫ শতাংশে নামাল দ. কোরিয়া *** মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার, ডিসেম্বরেই নির্বাচন *** শেখ হাসিনা আমলের নির্যাতনের অবসান, তবে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমন অব্যাহত: এইচআরডব্লিউ

গ্রামের প্রতিটি বাড়িই যেন পোল্ট্রি খামার, বদলে গেছে ভাগ্য

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:১২ পূর্বাহ্ন, ১৯শে মার্চ ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার বেলছড়ি ইউনিয়নের পিছিয়ে পড়া গ্রাম স্বর্ণকারটিলার শতাধিক পরিবারের এক যুগের ব্যবধানে পোল্ট্রি খামারে ভাগ্য বদলে গেছে। পোল্ট্রি খামারের আয়ে ছনের ঘরের বদলে গড়ে উঠছে পাকা বাড়ি।

২০১২ সালে ১ হাজার মুরগির শেড দিয়ে পোল্ট্রি খামার শুরু করেন মো. আজিজুল ইসলাম। প্রথম বছরে পান সফলতা। পোল্ট্রি খামারে আজিজুল ইসলামের সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে অনেকেই ব্যবসা শুরু করেন। এ গ্রামের পোল্ট্রি খামারিরা দেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখছেন। বর্তমানে ওই গ্রামের সবার আয়ের একমাত্র উৎস পোল্ট্রি খামার।

আধুনিক সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিতি এই গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে গড়ে উঠেছে পোল খামার। পোল্ট্রি খামার গড়ে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। গ্রামের প্রতিটি বাড়িই যেন পোল্ট্রি খামার। এসব খামারে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কয়েক হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।

মাটিরাঙ্গায় উপজেলা শহর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরের বেলছড়ি ইউনিয়নের স্বর্ণকারটিলা গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, ২ হাজার থেকে শুরু করে ৪ হাজার মুরগির শেড রয়েছে বিভিন্ন খামারে।

১৩০ পরিবার নিয়ে গঠিত স্বর্ণকারটিলা গ্রামে ছোট-বড় ১৮০টি খামার আছে। প্রতি মাসে গড়ে ৪ লাখ মুরগি উৎপাদন হয়। প্রতি মাসে ১ গ্রাম থেকে ১০ কোটি ১৫ লাখ টাকার মুরগি বিক্রি হয়। বছরে যা দাঁড়ায় ১২১ কোটি ৮০ লাখ টাকায়। পাহাড়ি গ্রামের এসব মুরগি খাগড়াছড়ি জেলার চাহিদা মিটিয়ে ফেনী, নেয়াখালী, চট্টগ্রাম ও ঢাকায় বিক্রি করা হয়। প্রতি মাসে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয় গ্রামের বিভিন্ন খামারে।

তবে শত কোটি টাকার উপরে পোল্ট্রি মুরগি উৎপাদন হলেও ভালো নেই খামারিরা। 

আরো পড়ুনসুগন্ধি লেবু চাষ করে সফল শার্শার জাহাঙ্গীর আলম

খামারিদের অভিযোগ, দেশ স্মার্ট যুগে প্রবেশ করলেও স্বর্ণকারটিলা এখনো অন্ধকারেই পড়ে আছে। বিদ্যুতের আলো পৌঁছেনি দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখা এ গ্রামে। ২০১৯ সালে বৈদ্যুতিক খুঁটি এবং ট্রান্সমিটার স্থাপন করা হলেও অজানা কারণে সংযোগ দেওয়া হয়নি। ফলে লাখ লাখ টাকা সরকারি রাজস্ব দেওয়া ওই এলাকার জনগণ সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

হতাশার কথা জানিয়ে খামারি আসমাউল ইসলাম বলেন, ‘বাচ্চা, খাদ্য ও ভ্যাকসিনের দাম বাড়লেও মাংসের দাম আগে যা ছিল এখনো তা-ই আছে। চাইলেও এ ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার সুযোগ নেই। সব মিলিয়ে এখানকার খামারিরা দুর্ভোগের মধ্যে আছে।’

অপর খামারি ইয়াসির আরাফাত বিদ্যুৎ না থাকায় নিজেদের ভোগান্তির কথা জানিয়ে বলেন, ‘পোল্ট্রি খামার করতে বিদ্যুৎ খুব গুরুত্বপূর্ণ হলেও আমাদের গ্রামে তা নেই।’

মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চক্রবর্তী বলেন, ‘পোল্ট্রি খামারের মাধ্যমে বদলে যাওয়া ওই গ্রামে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে। পোল্ট্রি খামারিদের সঙ্গে কথা বলে সব ধরনের সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

এসি/ আই.কে.জে/


পোল্ট্রি খামার

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন