শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুগন্ধি লেবু চাষ করে সফল শার্শার জাহাঙ্গীর আলম

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:২৮ পূর্বাহ্ন, ১৮ই মার্চ ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

যশোরের শার্শায় লেবু চাষ করে প্রথমবারই সফলতার মুখ দেখেছেন তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা জাহাঙ্গীর আলম। সাড়ে তিন বছর আগে সৃজিত বাগানে এখন থোকায় থোকায় ঝুলছে সবুজ রঙের লেবু। তার এমন সাফল্য দেখে এলাকার অনেকেই উৎসাহিত হয়েছেন লেবু চাষে।

পাইকাররা বাগানে এসেই লেবু কিনছেন । তাই বাজারজাত করার বাড়তি ঝামেলা নেই। প্রতি পিস লেবু তিনি ৫ টাকা করে বিক্রি করছেন। লেবুর ভালো দাম পেয়ে কৃষক জাহাঙ্গীর আলম অনেক খুশি। প্রতিনিয়তই বিভিন্ন এলাকা থেকে আগ্রহীরা বাগান দেখে লেবু চাষে অনুপ্রাণিত হচ্ছেন।

কৃষি অফিস জানা যায়, লেবু চাষে খরচ কম, লাভের পরিমাণ অনেক বেশি। চারা লাগানোর ১ বছর পর থেকেই ফলন পাওয়া যায়। সঠিক পরিচর্যা করলে একবার চারা রোপণের পর একাধারে অন্তত ১০-১৫ বছর পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়। সারাবছরই লেবুর চাহিদা রয়েছে। বিভিন্ন ভাইরাস প্রতিরোধে ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ লেবু অনেক উপকারী। তাই বাজারে এর চাহিদা বেড়েছে।

আরো পড়ুন: লিচুর মুকুলের ঘ্রাণে মেতে উঠেছে পঞ্চগড়

কৃষক জাহাঙ্গীর আলম জানান, ‘গার্মেন্টস ব্যবসার পাশাপাশি ইউটিউব দেখে সাড়ে ৩ বছর আগে আড়াই বিঘা জমিতে উন্নত পদ্ধতিতে সাড়ে ৩শ চায়না-৩ সুগন্ধি (লেবু) চারা রোপণ করি। চারা ক্রয়, গর্ত তৈরি, সার ও অন্য খরচ মিলে প্রায় ৪০-৫০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। চারা রোপণের ১ বছর পর থেকেই লেবু গাছে ফল ধরা শুরু হয়।’

বাগানে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি গাছে ২০০-২৫০টি করে ফল ধরেছে। এরই মধ্যে তিনি ২০ হাজার লেবু বিক্রি করেছেন। ৫ টাকা দরে ১ লাখ টাকা। আরও প্রায় ৩০ হাজার লেবু বিক্রি করা যাবে। এ ছাড়া বাগান থেকে প্রতি বছর প্রায় ৫০-৬০ হাজার লেবু ৫-৬ লাখ টাকা বিক্রি করেন জাহাঙ্গীর আলম।

উপজেলা কৃষি অফিসার দীপক কুমার সাহা বলেন, ‘উপজেলার গোগা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম নিজ উদ্যোগে জমিতে লেবু বাগান করে সফল হযেছেন। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে লেবু, মাল্টা, আম ও অন্য ফল চাষে উদ্বুদ্ধ করতে পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছি। প্রতিটি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা চাষিদের পাশে থেকে বিভিন্ন ফল ও ফসল চাষে সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিচ্ছেন।’

এসি/ আই.কে.জে/


জাহাঙ্গীর আলম লেবু চাষ

খবরটি শেয়ার করুন