ছবি : সংগৃহীত
উত্তরের হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে দিনাজপুরসহ উত্তরের জনপদ। সড়ক-মহাসড়কে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলছে গাড়ি। এদিকে কনকনে ঠান্ডায় কাবু হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষ।
সোমবার (২৩শে ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় এক কিলোমিটার।
কুয়াশা বেড়ে যাওয়ায় রাস্তায় কমেছে মানুষের চলাচল। উষ্ণতার আশায় কেউ কেউ আগুন জ্বালিয়ে শরীর গরম করে নিচ্ছেন। আবার কেউ ভিড় জমাচ্ছেন চায়ের দোকানে। দূরপাল্লার গাড়িগুলো চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। দিনের তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষ। এ ছাড়া আলু, রসুন ও বোরো ধানের বীজতলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কৃষকরা।
আরো পড়ুন : সন্ধ্যার মধ্যেই ৩ বিভাগে নামবে বৃষ্টি!
ভ্যান চালক মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ঠান্ডার কারণে মানুষ বাসা থেকে প্রয়োজন ছাড়া বের হচ্ছে না। সকালবেলা ঘন কুয়াশার সঙ্গে ঠান্ডা বাতাসে রাস্তায় মানুষের চলাচল কমে গেছে। আবার সন্ধ্যা হলেই মানুষ বাসায় চলে যাচ্ছে। কয়েক দিন থেকে সকালবেলা আর সন্ধ্যাবেলা শীতের তীব্রতা বেশি। দিনের বেলা সূর্য দেখা দিলেও সূর্যের তাপ কম।
কৃষক মনির ইসলাম বলেন, সকালবেলা ঘন কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাসের কারণে বোর ধানের বীজতলা হলুদ হয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কীটনাশক স্প্রে করেও কাজ হচ্ছে না।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আজ সোমবার সকাল ৬টায় দিনাজপুরের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১ কিলোমিটার।
এস/ আই.কে.জে/
খবরটি শেয়ার করুন