শুক্রবার, ৫ই ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২১শে অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** কলকাতায় পাঁচ জেএমবি সদস্যের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড *** নির্বাচনে সহায়তা নিয়ে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে ব্রিফ করল জাতিসংঘ *** কাফু–ক্যানিজিয়ার সঙ্গে ঢাকায় নৈশভোজের সুযোগ *** নতুন গণমাধ্যম নীতি নিয়ে আপত্তি, পেন্টাগনের বিরুদ্ধে নিউইয়র্ক টাইমসের মামলা *** প্রধান উপদেষ্টাকে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর ফোন, বন্যায় সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা *** খালেদা জিয়াকে নিয়ে নির্মিত সরকারি ডকুমেন্টারি প্রকাশ *** একটি মানবশিশুকে যেভাবে পাহারা দিলো চারটি কুকুর *** অনিবার্য কারণ ছাড়া বিএনপি নির্বাচনি মাঠে থাকবে: নজরুল ইসলাম খান *** নিবন্ধন পাচ্ছে ‘আমজনতার দল’, প্রতীকের বিষয়ে যা জানা গেল *** এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেরি হতে পারে, জুবাইদা রহমান ঢাকায় আসছেন

বৈষম্য কমিয়ে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা সম্ভব: ড. ইফতেখারুজ্জামান

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৯:৩২ পূর্বাহ্ন, ৩রা ডিসেম্বর ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, যে কোনো অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার অন্যতম শর্ত হচ্ছে তাদের মধ্যে বৈষম্য কমিয়ে এনে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা করা। নইলে অস্থিতিশীলতা, অসন্তোষ বজায় থাকাটাই বাস্তব। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তি বিষয়ে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে ন্যায্যতা অর্জন সম্ভব হয়নি সেটা পরিষ্কার। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হতে ৫০০-১০০০ টাকা ঘুষও দিতে হয় তাদের।

গতকাল মঙ্গলবার (২রা ডিসেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে মাইডাস সেন্টারে টিআইবির নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। ‘সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তি: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন টিআইবির গবেষণা ফেলো রাজিয়া সুলতানা।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্যরা জাতীয় দারিদ্র্যের তুলনায় অনেক দারিদ্র্যের মধ্যে থাকলেও সামাজিক নিরাপত্তাব্যবস্থায় তাদের জন্য পর্যাপ্ত অগ্রাধিকার নেই।

আইন ও নীতিমালায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীবান্ধব দিকনির্দেশনার ঘাটতি, আবেদন ও প্রমাণপত্রের জটিলতা, নীতি-প্রণয়ন ও বাজেট প্রক্রিয়ায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের অনুপস্থিতি, তথ্যপ্রাপ্তির সীমাবদ্ধতা, ভাষাগত প্রতিবন্ধকতা এবং অভিযোগ ব্যবস্থায় অনীহা- সব মিলিয়েই তাদের অন্তর্ভুক্তি কম। প্রতি পাঁচজন যোগ্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্যের মধ্যে মাত্র একজন তালিকাভুক্ত হয়েছেন।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের ক্ষেত্রে সামাজিক নিরাপত্তার প্রচারণা সীমিত, জনপ্রতিনিধিত্ব দুর্বল এবং শিক্ষা-প্রযুক্তিগত সক্ষমতার ঘাটতি বড় বাধা। অন্যদিকে পার্বত্য অঞ্চলে আলাদা কর্মসূচির অভাব, ভৌগোলিক দূরত্ব, ভাষাগত সমস্যা, তথ্যপ্রাপ্তির সীমাবদ্ধতা এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সক্ষমতার ঘাটতি অন্তর্ভুক্তি আরও কমিয়েছে।

জে.এস/

টিআইবি ড. ইফতেখারুজ্জামান

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250