শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২৩ নাবিক সুস্থ আছেন, তাদেরসহ জাহাজ ফেরত আনার লক্ষ্যে আমরা অবিচল : সচিব

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৮:০৮ অপরাহ্ন, ১৪ই মার্চ ২০২৪

#

ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুর কবলে পড়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ বাংলাদেশি নাবিক সুস্থ আছেন, তাদেরকেসহ জাহাজ ফেরত আনাই আমাদের প্রথম লক্ষ্য বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মারিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম। 

বৃহস্পতিবার (১৪ই মার্চ) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় পূর্বে অপহৃত দেশি জাহাজ 'জাহান মনি' এবং মালয়েশিয়ার জাহাজ 'আল-বেদো'তে কর্মরত সব বাংলাদেশি নাবিকদের অক্ষত উদ্ধারের কথাও সংক্ষেপে জানান সচিব।

জলদস্যুরা মুক্তিপণ চেয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, গণমাধ্যমে মুক্তিপণের কথা প্রকাশিত হয়ে থাকলে তা কল্পিত। আমাদের কাছে এখনো কোনো মুক্তিপণ তারা চায়নি, মুক্তিপণের ব্যাপারে কোনো যোগাযোগও  করেনি। 

খুরশেদ আলম জানান, জাহাজ চলাচলের নানা ঝুঁকির রুট থাকে। আমাদের এই জাহাজটি উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ রুট দিয়ে যায়নি। তারপরও জলদস্যুরা অপেক্ষায়ই ছিল বা এ নিয়ে ভিন্নমত আছে। জলদস্যুরা জাহাজটির দখল নিয়ে সোমালিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে (বৃহস্পতিবার) ভোর নাগাদ সোমালিয়ার কাছাকাছি তারা নোঙর করেছে। জলদস্যুরা আমাদের সাথে এখনও কোনো যোগাযোগ করেনি। বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা খবর রাখছি, জলদস্যুদের প্রায় ৬০ জন জাহাজে অবস্থান নিয়েছে এবং বাংলাদেশি ২৩ নাবিক সুস্থ আছেন। 

সচিব বলেন, এ বিষয়ে আমাদের আগের অভিজ্ঞতা আছে। জাহান মনি নামের একটি জাহাজ ২০১০ সালে এমন ঘটনার মুখে পড়েছিল। ১০০ দিনের মাথায় সকল নবিকসহ জাহাজটি আমরা ফেরত আনতে পেরেছিলাম। এছাড়া মালয়েশিয়ান জাহাজ 'আল-বেদো' যখন জলদস্যুদের কবলে পড়ে তখন সাতজন বাংলাদেশি, দুইজন ইরানি, তিনজন ভারতীয়, দুইজন পাকিস্তানি ও পাঁচজন শ্রীলঙ্কান নাবিক ছিল কিন্তু মালয়েশিয়ার মালিকপক্ষ কোনো দায়িত্ব না নেওয়ায় জাহাজটি আটকে থাকে, আড়াই বছর পর ডুবে যায়, কিছু প্রাণহানিও ঘটে উল্লেখ করে এডমিরাল বলেন, আমরা পুরো সময় জুড়েই কাজ করেছি এবং প্রায় তিন বছর চার মাস পরে আমরা নেগোসিয়েশন করে কেনিয়ার সেনাবাহিনী দিয়ে বাংলাদেশি নাবিকদের অক্ষত উদ্ধার করে এনেছি।

সরকারের তৎপরতা নিয়ে তিনি বলেন, আমরা আন্তরিকভাবে চেষ্টায় আছি। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী, নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক, জাহাজের মালিকসহ সব পক্ষের সঙ্গে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ আছে। 

সামুদ্রিক বিষয়ক ইউনিট সচিব বলেন, আমরা এখনও জানি না জলদস্যুদের কী দাবি-দাওয়া। আমরা যদি জানতে পারি, তখন হয়তো কৌশলগতভাবেই গণমাধ্যমকে পুরোপুরি জানাতে পারব না। তবে যেভাবে 'জাহান মনি'কে আনা হয়েছে, যেভাবে 'আল-বেদো' থেকে নাবিকদের অক্ষত আনা হয়েছে সেই অভিজ্ঞতার আলোকে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। 'জাহান মনি' আনতে একশ’ দিন লেগেছে, আর মালয়েশিয়ান জাহাজ থেকে সাতজন ক্রু ফেরত আনতে লেগেছে তিন বছর চারমাস। কাজেই সময় একটা ব্যাপার।

এইচআ/  আই.কে.জে

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমালিয়ান জলদস্যু এমভি আব্দুল্লাহ

খবরটি শেয়ার করুন