ছবি : সংগৃহীত
পৃথিবীর চেয়ে কিছুটা ছোট আকৃতির একটি ‘বাসযোগ্য’ গ্রহের সন্ধান পেয়েছে বলে দাবি করেছে বিজ্ঞানীদের দুটি দল। ‘তাত্ত্বিকভাবে বাসযোগ্য’ ওই গ্রহটি সৌর পরিবারে শুক্রের চেয়ে বড় এবং প্রায় ৪০ আলোকবর্ষ দূরে একটি ছোট্ট নক্ষত্রকে ঘিরে প্রদক্ষিণরত।
শুক্রবার (২৪শে মে) সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্লিস ১২বি নামে গ্রহটি যে শীতল লোহিত বামন নক্ষত্রকে ঘিরে প্রদক্ষিণ করছে, সেটি আকারে আমাদের সূর্যের মাত্র ২৭ শতাংশ। এর উত্তাপ সূর্যের ৬০ শতাংশ।
পৃথিবীর প্রায় সমান আকৃতির সম্ভাব্য বাসযোগ্য এ গ্রহের নাম দেয়া হয়েছে ‘গ্লিস ১২বি’। নতুন গ্রহটির তাপমাত্রা প্রায় ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যার মানে বাসযোগ্য হতে পারে এটি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এতে মানুষের পক্ষে বেঁচে থাকা তাত্ত্বিকভাবে সম্ভব।
আরো পড়ুন : বজ্রপাতের সময় ফোন-ল্যাপটপ কোথায় রাখবেন?
গ্রহটিতে কোনো বায়ুমণ্ডল আছে কিনা, তা জানতে বিজ্ঞানীরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এর পৃষ্ঠদেশের তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে তারা জেনেছেন। টোকিওর অ্যাস্ট্রোবায়োলজি সেন্টারের সহকারী অধ্যাপক মাসায়ুকি কুজুহারা বলেন, পৃথিবীর আকারের ওই গ্রহটি অনেকটা কাছাকাছি দূরত্বে রয়েছে।
আরেক জ্যোতির্বিদ ইউনিভার্সিটি অব অ্যাডিনবার্গের ডক্টরেটের শিক্ষার্থী ল্যারিসা প্যালিথর্প এটিকে ‘গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার’ বলে বর্ণনা করেন। বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত নন, ঠিক কী দিয়ে গ্রহটির বায়ুমণ্ডল গঠিত। সেখানে পানির উপস্থিতি আসলে আছে কিনা, সেটিও তারা নিশ্চিত হতে পারেননি।
ল্যারিসা বলেন, তারা ওই গ্রহে গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়া লক্ষ করেছেন। তবে পানির উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেননি।
মহাকাশের দিক থেকে বিবেচনা করলে 'গ্লিস ১২বি' গ্রহটি ৪০ আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে। সেখানে পৌঁছাতে সবচেয়ে দ্রুতগতির মহাকাশযানের সময় লাগবে প্রায় তিন লাখ বছর। গ্রহটি প্রতি ১২ দশমিক ৮ দিনে সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করে। গ্লিস ১২বি এর মতো গ্রহগুলো সংখ্যায় খুব কম থাকায় এবং এদের মধ্যে দূরত্ব অনেক বেশি হওয়ায় এসব গ্রহের বায়ুমণ্ডল ও তাপমাত্রা সম্পর্কে জানা বেশ কঠিন।
এই গবেষণার পরবর্তী ধাপে গবেষকরা নতুন গ্রহের বায়ুমণ্ডল পরীক্ষা করে দেখবেন গ্রহটির সঙ্গে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের কোনো মিল আছে কি না।
এস/ আই.কে.জে