সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৯ই পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মানসিক স্বাস্থ্য হোক মৌলিক অধিকার

সম্পাদকীয়

🕒 প্রকাশ: ০৪:৩৪ অপরাহ্ন, ১০ই অক্টোবর ২০২৪

#

আজ ১০ই অক্টোবর আন্তর্জাতিক মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। প্রতিবছর বাংলাদেশসহ বিশ্বের দেড় শতাধিক দেশে নানা আয়োজনে দিবসটি পালিত হচ্ছে। বিশ্বজুড়ে মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি যারা মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন,তাদের প্রতি সহযোগিতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে দিবসটি পালন করা হয়।

১৯৯২ সাল থেকে প্রতি বছর ১০ই অক্টোবর দিনটিকে মানসিক স্বাস্থ্য দিবস হিসেবে পালন শুরু হয়েছে। শুরুতে দিবসটির কোনো নির্দিষ্ট প্রতিপাদ্য ছিল না। প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে কথা বলা এবং জনসাধারণকে প্রাসঙ্গিক বিষয়ে শিক্ষিত করা। তবে ১৯৯৪ সালে প্রথমবারের মতো দিবসটির প্রতিপাদ্য ব্যবহার করা হয়। এবারের প্রতিপাদ্যের বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘কর্মস্থলে মানসিক স্বাস্থ্যের অগ্রাধিকার।’

আন্তর্জাতিক একটি গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বের ৬০% লোক কোনো না কোনোভাবে কর্মস্থলে ঝুঁকির মধ্যে থাকে। কর্মস্থলে নিয়মিত মিটিং করা, ভালো যোগাযোগ করা, কর্মীদের উৎসাহ দেওয়া, পজিটিভ কথা বলা, তাদের সুখ-দুঃখের কথাগুলো শোনা খুবই জরুরি। সেদিকে বিবেচনা করলে এবছরের প্রতিপাদ্য বিষয়টি অত্যন্ত সময়োপযোগী ও তাৎপর্যপূর্ণ।

আরো পড়ুন : বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস আজ, কর্মক্ষেত্রে সুস্থ পরিবেশের ওপর গুরুত্ব

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির কারণে প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী সাত লাখ মানুষ আত্মহত্যা করে। আর আত্মহত্যার চেষ্টা করা ব্যক্তির সংখ্যা তো আরো কয়েক গুণ বেশি। নারী ও তরুণরাই মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এটা শুধু আমাদের দেশেই নয়, উন্নত দেশগুলোও ঝুঁকির মধ্যে আছে। এ সমস্যাটিকে অনুধাবন করে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে-এর শাসনামলে জ্যাকি ডয়েল প্রাইস নামে একজনকে আত্মহত্যা প্রতিরোধ মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করেছিলেন। 

বিশেষজ্ঞদের মতে, মানসিক সমস্যার মূল কারণ দারিদ্র্য, অসমতা, সহিংসতা, বৈষম্য। এসব সমস্যাকে ভয় না পেয়ে বরং মোকাবিলা করতে হবে। মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত চার জনের মধ্যে তিন জনই পর্যাপ্ত চিকিৎসা পায় না বা করানো হয় না। আবার অনেকে মান-সম্মান লোকলজ্জার ভয়ে ডাক্তারের কাছে যায়  না। মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের এক জরিপের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক এবং ১২ দশমিক ৬ শতাংশ শিশু-কিশোর মানসিক রোগে ভুগছেন। আক্রান্তদের ৯২ শতাংশই  চিকিৎসা নেন না। যার ফলে দিনদিন পরিস্থিতি আরো ভয়ানক হয়ে উঠবে।

সুস্থ শরীর ছাড়া যেমন সুস্থ মন সম্ভব নয়, ঠিক তেমনি সুস্থ মন ছাড়া সুন্দর জীবন কিছুতেই সম্ভব নয়। অসুস্থ সকলকে চিকিৎসা নিতে হবে। মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে। তাই মানসিক স্বাস্থ্য হোক মৌলিক অধিকার। 

এস/ আই.কে.জে/


মানসিক স্বাস্থ্য দিবস

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন