মঙ্গলবার, ২২শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৭ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** গত বছর ব্রিটেনে আশ্রয়প্রার্থীদের শীর্ষে পাকিস্তানিরা, বাংলাদেশিরা চতুর্থ *** বিচার বিভাগ থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান নিয়োগে একমত বিএনপি-জামায়াত *** শিক্ষাসচিবকে প্রত্যাহার, জানালেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম *** মাইলস্টোনে আহতদের জন্য সিঙ্গাপুর থেকে আসছে চিকিৎসক দল: শ্রম উপদেষ্টা *** সেপ্টেম্বরের মধ্যে মিগ-২১ যুদ্ধবিমানের বহর বাতিল করবে ভারত *** বিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনায় আজ রাষ্ট্রীয় শোক *** সংসদে সংরক্ষিত আসন চায় দলিত সম্প্রদায় *** উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নরেন্দ্র মোদির শোক *** সাগরিকার হ্যাটট্রিকে নেপালকে উড়িয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ *** উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক

চিনি খাওয়া কেন কমানো জরুরি!

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৬:৩০ অপরাহ্ন, ৮ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

মিষ্টি খেতে কমবেশি সবাই পছন্দ করেন। আবার অনেকের চিনিযুক্ত কিছু না খাওয়া পর্যন্ত কিছুই ভালো লাগে না। তবে জানেন কি অত্যধিক চিনি খাওয়ার ফলে গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে? সাদা চিনিকে বলা হয় বিষাক্ত খাবার। এটি যতো কম খাওয়া যায়, ততোই ভালো। এছাড়াও চিনি খাওয়া কেন কমানো জরুরি সে সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে দেওয়া হলো-

স্বাস্থ্য সমস্যা

● অতিরিক্ত চিনি গ্রহণ, বিশেষ করে চিনিযুক্ত পানীয় ও প্রক্রিয়াজাত খাবার ওজন বৃদ্ধি ও স্থূলতার প্রধান কারণ। 

●চিনির অতি ব্যবহার ইনসুলিন প্রতিরোধের দিকে বিপাকক্রিয়াকে চালিত করতে পারে, যা টাইপ ২ ডায়াবেটিসের একটি প্রধান কারণ।

● ফ্রুক্টোজ, সাদা চিনির একটি উপাদান (সুক্রোজ) ও উচ্চ ফ্রুক্টোজ কর্ন সিরাপ লিভারে বিপাক হয়। অতিরিক্ত চিনি বা শর্করা ট্রাইগ্লিসারাইড হিসেবে জমে ফ্যাটি লিভার করে।

● উচ্চ রক্তচাপ, প্রদাহ ও অস্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরলের মাত্রাসহ হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধির সঙ্গে অতিরিক্ত চিনি গ্রহণের সম্পর্ক রয়েছে।

●  বাড়তি চিনি স্ট্রোকের ঝুঁকিতেও ভূমিকা রাখতে পারে।

● চিনি মুখগহ্বর ও দাঁতের ক্ষয়ের একটি প্রাথমিক কারণ। কেননা, এটি মুখের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার প্রিয় খাদ্য।

●  অত্যধিক চিনি খাওয়া বিষণ্ণতা ও উদ্বেগের ঝুঁকির সঙ্গে যুক্ত। 

আরো পড়ুন : মানসিক চাপ কমাতে বই পড়ুন

আসক্তি 

চিনি মস্তিষ্কে ডোপামিনের নিঃসরণ বাড়াতে পারে, যা আসক্তির মতো আচরণ ও লোভের দিকে পরিচালিত করে। পরে এটির গ্রহণ কমানো কঠিন করে তোলে।

প্রদাহ ও রোগ প্রতিরোধ

দীর্ঘস্থায়ী উচ্চমাত্রায় চিনি গ্রহণ প্রদাহের সৃষ্টি করে, যা বাত, কিছু ক্যানসারসহ বিভিন্ন রোগের সঙ্গে যুক্ত। এটি রোগ প্রতিরোধক্ষমতাকেও দুর্বল করে দিতে পারে, যা শরীরকে সংক্রমণের জন্য আরও সংবেদনশীল করে তোলে।

চিনির বিষক্রিয়া হ্রাস করবেন কীভাবে

● শর্করা সীমিত করুন : আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন নারীদের প্রতিদিন ৬ চা–চামচ (২৫ গ্রাম) ও পুরুষদের ৯ চা–চামচের (৩৮ গ্রাম) বেশি চিনি না খাওয়ার পরামর্শ দেয়।

● প্যাকেটের গায়ের লেবেল পড়ুন : প্রক্রিয়াজাত খাবার যেমন সস, আচার, রুটি ও মসলায় লুকানো শর্করা সম্পর্কে সচেতন হোন।

● গোটা খাবার বেছে নিন : ফল, শাকসবজি, গোটা শস্য ও চর্বিহীন প্রোটিনের মতো সম্পূর্ণ, অপ্রক্রিয়াজাত খাবারের দিকে মনোযোগ দিন।

● চিনিযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলুন : সোডা, এনার্জি ড্রিংকস, মিষ্টি চা, পানীয় ইত্যাদি ভেষজ চা বা মিষ্টি ছাড়া পানীয় দিয়ে প্রতিস্থাপন করুন।

এস/কেবি

চিনি

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন