শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তান নির্বাচন: এগিয়ে ইমরানপন্থি স্বতন্ত্র প্রার্থীরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১০:২৭ পূর্বাহ্ন, ৯ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর চলছে ভোটগণনা। সময় এগিয়ে চলার সাথে সাথে বিস্তৃত পরিসরের অনানুষ্ঠানিক ফলাফলও সামনে আসছে। এতে কারাবন্দি ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহেরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছেন। 

শুক্রবার (৯ই ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রচারিত বেসরকারি ফলাফলে এমনটিই দেখা গেছে। এমনকি বলা হচ্ছে যে, নিজের দুটি আসনেই পিছিয়ে রয়েছেন নওয়াজ শরীফ।

আর অনানুষ্ঠানিক এক ফলাফল বলছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিএমএল-এন এর প্রধান নেতা নওয়াজ শরিফ মানসেহরাতে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাদা গাস্তাসাপের কাছে উল্লেখযোগ্য ব্যবধানে পরাজয়ের সম্মুখীন হয়েছেন। তার জন্য এটিকে বেশ বড় পরাজয় বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও নওয়াজ অন্য আরও একটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি নির্বাচনী এলাকা এনএ-১৫ মানসেহরা থেকে পাওয়া অনানুষ্ঠানিক ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, শাহজাদা গাস্তাসাপ ৭৪ হাজার ৭১৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন, আর মিয়া নওয়াজ শরিফ ৬৩ হাজার ৫৪ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।

অপ্রত্যাশিত এই ফলাফল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)-এর নির্বাচনী দৃশ্যপটে একটি বড় বিপর্যয় হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। অবশ্য মানসেহরাতে পরাজয় সত্ত্বেও নওয়াজ শরিফ লাহোরের এনএ-১৩০ আসনেও প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন। সেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াসমিন রশিদের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর আশা করা হয়েছিল, এবার পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) সবচেয়ে বেশি আসনে জয়লাভ করবে। কারণ তার প্রতি সামরিক বাহিনীর সমর্থন রয়েছে। কিন্তু স্থানীয় টিভি চ্যানেলগুলোর দাবি, তার দল খারাপ অভিজ্ঞতা করেছে।

পিটিআইয়ের বর্তমান চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গহর দাবি করেছেন, দলটি ১৫০টিরও বেশি আসনে এগিয়ে রয়েছে। যেখানে দেশটির সংসদীয় আসনের সংখ্যা ২৬৫টি। এমন পরিস্থিতিতে অভিযোগ উঠেছে, ‘ফলাফল জালিয়াতি’র উদ্দেশ্যে ভোট গণনায় গড়িমসি করছে ইসিপি।

এবারের নির্বাচনে ইমরান খানের দল পিটিআইকে নির্বাচন থেকে বিরত রাখার সব ধরনের চেষ্টা চালিয়েছে জোট সরকার। ফলে দলটির প্রার্থীরা স্বতন্ত্র হিসেবে এই নির্বাচনে অংশ নেন এবং বেশিরভাগ নির্বাচনী এলাকায় তারাই এগিয়ে রয়েছেন।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রকাশিত পরিসংখ্যান বলছে, এখন পর্যন্ত প্রকাশিত আনুষ্ঠানিক ফলাফলে ইমরানের দল পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬টি আসনে, নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন প্রার্থীরা ৫টি আসনে এবং বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টির প্রার্থীরা ৪টি আসনে জয় পেয়েছেন।

আরও পড়ুন: নওয়াজ শরীফকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখছে আন্তর্জাতিক মিডিয়া

শুক্রবার সকাল ৬টা টা নাগাদ ভোটকেন্দ্রগুলো বন্ধ হওয়ার ১৩ ঘণ্টারও বেশি সময়ের পর পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) মাত্র কয়েকটি আসনে জাতীয় পরিষদের ফলাফল ঘোষণা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেক প্রার্থী। এদিকে, ফলাফল জানাতে দেরি হওয়ার কারণ হিসেবে ‘ইন্টারনেটের সমস্যা’ কে দায়ী করেছে ইসিপি।

এর আগে, প্রথম ফলাফল ঘোষণার আগে পিটিআইয়ের প্রধান সংগঠক ওমর আইয়ুব খান বলেছিলেন, আমি আত্মবিশ্বাসী যে আমাদের দল যথেষ্ট ভালো করেছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পরবর্তী কেন্দ্রীয় সরকার গঠন করার ক্ষমতা আমাদের আছে।

এদিকে, পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) প্রত্যাশার চেয়ে ভালো করছে বলে মনে করছেন দলটির প্রধান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। তিনি বলেছেন, প্রাথমিক ফলাফল খুবই উৎসাহজনক।

সূত্র: এএফপি, সামা টিভি

এসেকে/ 

পাকিস্তান ইমরান খান

খবরটি শেয়ার করুন