ছবি: সংগৃহীত
পুঁইশাক চাষ করে ভাগ্য বদলেছে ত্রিশোর্ধ্ব গৃহবধূ সুফিয়া বেগমের। গত ১০ বছর ধরে তিনি গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের চুপাইর গ্রামে পুঁইশাক চাষ করছেন। তাকে দেখে আগ্রহী হচ্ছেন ওই গ্রামের আশপাশের কৃষকেরা।
পুঁইশাক চাষি সুফিয়া বেগম জানান, তাদের ৪ সদস্যের সংসার। পরিবার পুরোপুরি কৃষিনির্ভর। স্বামী ট্রাকটর দিয়ে নিজের জমি চাষ করার পর ভাড়ায় অন্যের জমি চাষ করে আয় করেন। স্বামীকে সহযোগিতা করতে তিনি পুঁইশাক চাষে আগ্রহী হন। তবে বেশ কয়েক বছর পুঁইশাক চাষে লাভবান হওয়ায় বড় পরিসরে চাষ শুরু করেন।
তিনি বলেন, ‘আমার প্রায় ৪০ শতাংশ জমি আছে। সেখানে গত ১০ বছর ধরে পুঁইশাক চাষ করছি। যদি ৫০ হাজার টাকা খরচ হয় এবং প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হয়, তাহলে ১ থেকে দেড় লাখ টাকা আয় করা যায়।’
চুপাইর গ্রামের চল্লিশোর্ধ্ব কৃষক মঞ্জুর হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সুফিয়া বেগম পুঁইশাকের চাষ করেছেন। প্রতি বছরই তিনি করেন। এবারও তার ক্ষেত খুব সুন্দর হয়েছে। তিনি পুঁইশাক চাষ করে খুবই লাভবান হয়েছেন। আমার ইচ্ছা আছে, আগামী বছর পুঁইশাকের চাষ করবো।’
কালীগঞ্জ উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘উপজেলার কৃষকেরা পুঁইশাকের চাষ ব্যাপকভাবে আয়ত্ত করতে পেরেছেন। তাই চাষিরা স্থানীয় বাজারগুলোর চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করতে পারছেন। প্রতিদিন স্থানীয় দোলান বাজার এলাকা থেকে ট্রাক-পিকআপ ভর্তি করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় চলে যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: টমেটো-আলু-শিমের কেজি ২০, চার ঘণ্টায় বিক্রি ১০ লাখ টাকা
এসি/ আই.কে.জে