ছবি : সংগৃহীত
অনেকেই খাওয়ার সময় কেউ পেট ভরে খান, আবার অনেকে পেট কিছুটা খালি রাখেন। যদিও বেশিরভাগ মানুষ একদম পেটপুরে খান। যাকে বলে গলায় গলায় খাওয়া। বাঙালিদের এই অভ্যাস দীর্ঘদিনের। এমনকি শেষ পাতে মিষ্টান্ন খেতেও ভুল হয় না। তবে জানা আছে কি, পেট ভরে খাওয়া ঠিক নাকি ভুল?
পেট ভরে খাওয়া একদমই ঠিক নয়! এভাবে পেটপুরে খাবার খাওয়ার কারণে কিন্তু পিছু নিতে পারে একাধিক অসুখ। তাই বিপদের ফাঁদে পড়ার আগেই এই বদভ্যাসের ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে জেনে নিন।
আরো পড়ুন : নিজের এই ৫ বিষয় কখনো কাউকে বলবেন না
বাড়বে ওজন
শরীরের মেদের বহর বাড়লে একাধিক জটিল রোগের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই যেনতেন প্রকারে ওজনকে বশে রাখতে হবে। আর এই কাজটি করতে চাইলে পেটপুরে খাওয়ার লোভ সামলে নিন। নইলে যে কিছুতেই কমবে না ওজন। তাই এবার থেকে খাওয়ার সময় পেটে কিছুটা জায়গা রেখেই পাত ছেড়ে উঠে পড়ুন। হলফ করে বলতে পারি, এই নিয়মটা মেনে চললেই আপনার ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
কাজ করবে না মস্তিষ্ক
গবেষণায় দেখা দেখে, নিয়মিত বেশি বেশি পরিমাণে খাবার খেলে কিন্তু মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। তাই ব্রেনের ক্ষমতা বজায় রাখতে চাইলে আপনাকে পেট পুরে খাবার খাওয়ার লোভ সামলে নিতে হবে। তার বদলে ঠিক যতটা খেলে বেঁচে থাকা সম্ভব, ঠিক ততটাই খান। এই নিয়মটা মেনে চললে যেমন ওজনকে বশে রাখতে পারবেন, ঠিক তেমনই ব্রেনও কাজ করবে রকেটের গতিতে। তাই তো বিশেষজ্ঞরা সকলকে এই নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দেন।
গ্যাস, অ্যাসিডিটির ভ্রূকুটি
পেটে যা ধরে, তার থেকে বেশি পরিমাণে খেলে হজমক্রিয়া দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। আর সেই সুবাদে পিছু নিতে পারে গ্যাস, অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা। এমনকি এভাবে নিত্যদিন বেশি বেশি পরিমাণে খেতে থাকলে একটা সময় সঙ্গী হতে পারে বমি বমি ভাব। তাই হেসে খেলে জীবন কাটানোর ইচ্ছে থাকলে আজ থেকেই অত্যধিক খাবার খাওয়ার লোভ সামলে নিন। আশা করছি, তাতেই উপকার পাবেন হাতেনাতে।
চোখে ভিড় করবে ঘুম
বেশি বেশি পরিমাণে খাবার খেলে রক্তে সুগারের মাত্রা হুট করে অনেকটা কমে যেতে পারে। আর সেই কারণে চোখে জড় হতে পারে ঘুম। এমনকি বেশি খাওয়ার কারণে খাওয়ার পরপরই ক্লান্ত হয়ে যেতে পারেন। তাই এই ধরনের সমস্যার থেকে দূরত্ব বাড়াতে চাইলে আজ থেকেই বেশি বেশি খাবার খাওয়ার লোভ সামলে নিন। ব্যস, এই কাজটা সেরে ফেললেই কর্মচঞ্চল জীবন কাটাতে পারবেন।
এস/ আই.কে.জে/