ছবি - সংগৃহীত
রাজশাহীতে তৈরি হচ্ছে পলিথিনের বিকল্প হিসেবে ‘পরিবেশবান্ধব ব্যাগ’। ২০২২ সালে, স্থানীয় এক উদ্যোক্তার গড়ে তোলা কারখানায় উৎপাদিত পণ্যটি এখন বাজারে বেশ সাড়া ফেলেছে। এরই মধ্যে, বিভিন্ন জেলা থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ক্রেতারা ভুট্টার স্টার্চসহ জৈব উপাদানের মাধ্যমে তৈরি এই ব্যাগ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। উদ্যোক্তার দাবি, এর মূল কাঁচামাল ও উপকরণ দেশে সহজলভ্য হলে এই ব্যাগের দাম আরও কমবে।
রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কের পাশেই কারখানায় তৈরি হচ্ছে পরিবেশবান্ধব পচনশীল পলিথিনের বিকল্প ব্যাগ। বিদেশে প্রশিক্ষণ ও গবেষণা শেষে রাজশাহীতে পরিবেশবান্ধব ব্যাগের কারখানা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন স্থানীয় উদ্যোক্তা ইফতেখারুল হক। প্রতিবেশী দেশ থেকে তার কারখানার সকল যন্ত্রপাতি কিনে আনা হয়। কাঁচামালও আসে সেখান থেকে। ভুট্টার স্টার্চসহ জৈব উপাদানের মাধ্যমে ব্যাগগুলো তৈরি হচ্ছে। আকার ভেদে ব্যাগগুলো প্রতি পিছ ৩ টাকা থেকে শুরু করে ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এই ব্যাগ কিনতে এসে ক্রেতারা বলছেন, ভুট্টার স্টার্চসহ জৈব উপাদানের মাধ্যমে ব্যাগগুলো পরিবেশবান্ধব এজন্য কিনতে আসছেন তারা।
উৎপাদকরা জানান, জৈব উপাদানে তৈরি এই ব্যাগ ব্যবহার শেষে মাটিতে ফেলে দিলে ছয় মাসের মধ্যে তা পচে মাটিতে মিশে যায়। পরে এগুলো জৈব সার হিসেবেও কাজ করবে। ফলে এ থেকে পরিবেশের ক্ষতির আশঙ্কা নেই।
রাজশাহীতে পরিবেশবান্ধব এই ব্যাগ তৈরির পর দেশের নানা প্রান্তের ব্যবসায়ীরা ব্যাগ কিনতে আসছেন। আবার অনেকে কারখানায় আসছেন উৎপাদন ব্যবস্থা দেখতে। তারাও আগ্রহী এই ব্যাগ তৈরিতে যুক্ত হতে।
প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার বলেন, এটার কাঁচামাল পুরোটাই আমদানি করা হয়। যারা পলিথিন বিক্রেতা ছিল এতদিন তারাও এটা দেখতে ও কিনতে এখানে আসছেন।
ক্রিস্টাল বায়োটেক প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী ইফতেখারুল হক বলেন, মানুষের বেশ সাড়া পাচ্ছি। অনেকেই স্বেচ্ছায় এই ব্যাগ ব্যবহার করতে চায়। পলিথিন বন্ধ হলে তখন সবাই এই ব্যাগ নেবে বলে আশাবাদী তিনি।
সরকারের পক্ষ থেকে বাজারে নিষিদ্ধ পলিথিনের বিষয়ে আরো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং পরিবেশবান্ধব এই বিকল্প ব্যাগ তৈরিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে উৎসাহিত করলে সারাদেশের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব বলে মনে করেন এই উদ্যোক্তা।
আই.কে.জে/
খবরটি শেয়ার করুন