রবিবার, ৯ই নভেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৫শে কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** রাজনাথ সিংয়ের মন্তব্য ‘কূটনৈতিক সৌজন্যের পরিপন্থী’ *** আধুনিক ডিজাইনের পুলিশ বক্স চালু হচ্ছে ঢাকায় *** জাহানারার যৌন হয়রানির অভিযোগ তদন্তে স্বতন্ত্র বিশেষজ্ঞ যুক্ত করার দাবি টিআইবির *** জীবনের ‘শেষ নির্বাচন’ উল্লেখ করে যে বার্তা মির্জা ফখরুলের *** চলতি সপ্তাহে দাম না কমলে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন *** পদত্যাগ করবেন উপদেষ্টা আসিফ, ঢাকা থেকেই নির্বাচনের ঘোষণা *** পুলিশের উদ্যোগে ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল শিক্ষার্থীদের ‘শান্তিচুক্তি’ *** নতুন বেতনকাঠামোর সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচিত সরকার: অর্থ উপদেষ্টা *** ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ *** ঢাকা-১৭ আসনে লড়বেন প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার জহির রায়হানের ছেলে

অফিসে মেজাজ সামলাবেন কিভাবে

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১০:০৮ অপরাহ্ন, ২৮শে এপ্রিল ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

আমাদের দিনের অধিকাংশ সময়ই কাটে কর্মস্থলে। কাজের ব্যস্ততায় সময়ও কেটে যায়। শত ব্যস্ততার মাঝেই সহকর্মীদের সঙ্গে আলাপচারিতা, হাসিঠাট্টা তো হয়ই। কারো সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠে সম্পর্ক। কারো সঙ্গে আবার নিতান্তই কুশল বিনিময় হয়। দীর্ঘদিন কাজ করার সুবাদে সহকর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠা স্বাভাবিক। তবে সব সহকর্মী এক হয় না। কারো সঙ্গে মতের মিল নাও হতে পারে।

কিংবা কোনও সহকর্মীর বাঁকা মন্তব্য, সমালোচনা কিংবা তার কাজ আপনার পছন্দ নাও হতে পারে। কাজের যথার্থ স্বীকৃতি না পাওয়া, কটূক্তি, সমালোচনা, সহকর্মীর কর্মদক্ষতার অভাবে নিজের কাজে এর প্রভাব পড়া, বার বার আপনার কাজে সহকর্মীর হস্তক্ষেপ এমন অনেক ঘটনাই ঘটে কর্মক্ষেত্রে। এসব পরিস্থিতিতে মেজাজ হারিয়ে ফেললেই ঝামেলায় পড়তে পারেন। তাই মেজাজ না হারিয়ে নিজের রাগকে নিয়ন্ত্রণ করার কৌশল জানুন।  

সহকর্মীর কোনও আচরণে রাগ হচ্ছে আপনার, এমন পরিস্থিতিতে তাকে এড়িয়ে যান। নিজের কাজের দিকে মনোযোগী হোন। ঝামেলা হবে এমন পরিস্থিতিতে না জড়ানোই ভালো। প্রয়োজনে সেই সহকর্মীকেও এড়িয়ে যান।

রাগ উঠে গেলে তা নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক চেষ্টা করুন। চোখ বন্ধ করে নিজের চেয়ারে কিছুক্ষণ বসে থাকুন। সোজা হয়ে পা মাটিতে রেখে চেয়ারে বসুন। ঘন ঘন নিশ্বাস নিন। কিছুক্ষণের মধ্যেই রাগ কমে আসবে।

কর্মক্ষেত্রে আপনার কাজটিও সবসময় ঠিক হচ্ছে তা কিন্তু নয়। আগে দেখুন ভুলটি আপনার কিনা। যদি আপনার ভুল হয় তবে তাতে আপনি পরিস্থিতি সামলে নিন। প্রয়োজনে ভুল স্বীকার করে নিন। এক্ষেত্রে আপনার রাগ হওয়াটা মোটেও উচিত হবে না।

কোনও সহকর্মীর সঙ্গে বারবার ঝামেলা হচ্ছে। তার কাছ থেকে দূরেই থাকুন। এমন ঝামেলা আপনার কাজেও প্রভাব ফেলবে। প্রয়োজনে কিছুদিন বিরতি নিয়ে নিন। এরপর ফ্রেশ মনে আবারও কাজ শুরু করুন।

গবেষণায় দেখা গেছে, কর্মস্থলে কম কথা বলা ও কাজের বাইরে সহকর্মীদের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কে না জড়ানোই ভালো। এতে অফিসের রোষাণলে কম পড়বেন। এক সহকর্মীর সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক অন্যের ভালো নাও লাগতে পারে। আবার কোনও কারণে ঝামেলাও বেড়ে যেতে পারে। তাই কর্মক্ষেত্রের সম্পর্কগুলো একটু ভেবে চিন্তেই করুন।

আরো পড়ুন : আপনার মতে, সুখী হতে কী লাগে?

সহকর্মীর সঙ্গে মতের মিল নাও হতে পারে। কারো কথা বা আচরণ কিংবা সিদ্ধান্ত আপনার পছন্দ নাও হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে নিজের অপছন্দের বিষয়টি চেপে যান। কোনও মন্তব্য করবেন না। নিজের কাজটিই ভালোভাবে করুন। তবে অন্যায় দেখলে বিশেষে প্রয়োজনে অবশ্যই প্রতিবাদ করবেন।

কোনও সহকর্মীর সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পদত্যাগও করবেন না। এটি আপনার বোকামি হবে। প্রয়োজনে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়ে রাখুন ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির একটি গবেষণা বলছে, রাগ হলে রাগের কারণ বুঝতে নিজেই নিজেকে এসব প্রশ্ন করতে পারেন:

*কোন বিষয়টি আমাকে রাগাচ্ছে ?

*আমার রাগের পেছনে মূল অনুভূতিটা কী, ভয় না শক্তিহীনতা?

*স্বাভাবিক থাকার জন্য এখন আমার ঠিক কি করা প্রয়োজন?

*কোন দীর্ঘমেয়াদি ফলাফল আমাকে ভালো বোধ করাবে ?

*সে ফলাফল অর্জনের জন্য আমি কী কী পদক্ষেপ নিতে পারি?

*পদক্ষেপগুলো নেওয়ার জন্য আমি কী কী ঝুঁকি নেব এবং তাতে আমার কী লাভ হবে?

অনেকের রাগের মূলে থাকে ভয়। শক্তিহীন হওয়ার ভয় কিংবা প্রিয় কিছু হারানোর ভয় থেকে তীব্র রাগ আসতে পারে। আসল কারণ বুঝলে রাগ অনেকটাই নিজের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

এস/  আই.কে.জে

সম্পর্ক গবেষণা সহকর্মী

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250