শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশের দুই অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৭:৫১ অপরাহ্ন, ২৪শে মে ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় রেমালে পরিণত হলে এটি পটুয়াখালীর খেপুপাড়া এবং সুন্দরবন এলাকায় আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান।

তিনি বলেন, আগামী রোববার (২৬শে মে) সকালে ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগ দেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। একই দিন সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড়টি দেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে। তবে, সবই গতির ওপর নির্ভর করবে।

মো. আজিজুর রহমান জানান, নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হলে এর কেন্দ্রটা সরাসরি দেশের ওপর আঘাত হানবে। উপকূলের কাছাকাছি চলে এলে এর শক্তি বাড়তে পারে। উপকূল অতিক্রম করার চার-ছয় ঘণ্টার মধ্যে শক্তি হারাতে পারে।

তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শনিবার ( ২৫শে মে) রাত থেকেই উপকূলীয় জেলায় বৃষ্টিপাত হতে পারে। উপকূলের কাছাকাছি এলে ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি বাড়তে পারে। যত কাছে আসবে, তত ভারী বর্ষণ হবে। তবে বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত দেশের গরম কমবে না। 

বাংলাদেশের উপকূল থেকে বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি ৭৩০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শুক্রবার (২৪শে মে) আবহাওয়াবিদ খো.হাফিজুর রহমানের স্বাক্ষরিত আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (১৫.৬° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮.৮°পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে।

এটি দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮০৫ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৬৫ কি.মি. দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৩০ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে।

আরো পড়ুন: নিম্নচাপে রূপ নিলো লঘুচাপ, সমুদ্রবন্দরে সতর্ক সংকেত

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর মাঝারি ধরনের উত্তাল রয়েছে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ০১ (এক) নম্বর (পুনঃ) ০১ (এক) নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হলো।

এদিকে, অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরসমূহের জন্য আবহাওয়ার এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।

এইচআ/ 

আবহাওয়া অধিদপ্তর নিম্নচাপ

খবরটি শেয়ার করুন