ছবি- সংগৃহীত
রাজধানী ঢাকায় যানজট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। যানজটে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী। যারাই রাস্তায় বের হোন না কেন, তাদেরকে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। বর্তমান সরকারের সময় ট্রাফিক ব্যবস্থা পুরোপুরি কার্যকর না হওয়ায় দুর্ভোগ আরো কয়েকগুণ বেড়ে গেছে।কর্মজীবী মানুষের যন্ত্রণা তো আরো বেশি। ধারণা করা হয়েছিল চার দিনের ছুটিতে মানুষ স্বস্তিতে পূজা দেখতে পাবে। কিন্তু সড়কের অব্যবস্থাপনার কারণে স্বস্তির যাত্রা চরম অস্বস্তিতে পরিণত হয়েছে।
আর বৃষ্টি হলে তো কথাই নেই।অল্প বৃষ্টিতে সড়কে পানি জমে যায়। খানাখন্দ ভরা সড়কে পরিবহনের গতি আরো কমে যায়। শুরু হয় তীব্র যানজট। কর্মব্যস্ত ঢাকার সড়কপথ তখন একপ্রকার স্থবির হয়ে যায়।নগরবাসীর দুর্ভোগের আর সীমা থাকে না।
যানজট নিত্যদিনের চিত্র। সকাল থেকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানজট আরও বাড়তে থাকে। অফিস থেকে ফেরার সময়ও যানজটের তীব্রতা বেড়ে যায়।অনেক সময় যাত্রীরা পরিবহন থেকে নেমেই গন্তব্যের পথে রওনা হন। আগে অফিস খোলার দিনে যানজট বেশি থাকলেও এখন খোলা-বন্ধ সব দিনই একই অবস্থা।
যানজটের কারণে সব শ্রেণির মানুষই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা সময় মতো স্কুলে যেতে পারছে না, অনেক সময় পরীক্ষার হলে ঢুকতেও দেরি হচ্ছে। অফিসগামী কর্মজীবীরা সময় মতো অফিসে যেতে পারেন না। যার কারণে গ্রাহক সেবায় বিঘ্ন ঘটছে।যানজটের অযুহাত দিয়ে ব্যবসায়ীরা দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দিচ্ছে। যানজট মানসিক স্বাস্থ্যের উপরও বিরূপ প্রভাব ফেলছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, রাজধানীর যানজটের পরিস্থিতি একদিনে তৈরি হয়নি। এর জন্য সরকার ও জনগণের সচেতনতা দুটোই দায়ী। অপরিকল্পিত নগরায়ন, অপ্রশস্ত সড়ক, ফুটপাত দখল, ট্রাফিক সিগন্যাল মেনে না চলা, ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি, ফিটনেসবিহীন গাড়ির অবাধ চলাচল, ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল ঢাকাকে যানজটের নগরীতে পরিণত করেছে।
তবে যানজট আর জলজট রাজধানীবাসীর কাছে নতুন কোনো সমস্যা নয়। কিন্তু দিনে দিনে এ সমস্যা আরো তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। একটু বৃষ্টিতেই রাস্তায় হাঁটুপানি আর সড়কের অসহনীয় যানজট এখন মানুষের দুশ্চিন্তার অন্যতম কারণ। তখন ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয়।২০-৩০ মিনিটের হাঁটার পথও গাড়িতে যেতে লাগে কয়েক ঘন্টা। পূজার ছুটিতে মানুষ যখন একটু স্বস্তিতে ঘোরাঘুরির পরিকল্পনা করেছিল, তাদের স্বপ্ন যানজটের কারণে বুমেরাং হয়ে যাচ্ছে।
আই.কে.জে/