বুধবার, ৩০শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৫ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ডাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্যানেল দিচ্ছেন উমামা, যোগদানের আহ্বান ফেসবুকে *** ১৫ই আগস্টের মধ্যে চাকসুর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা *** ‘প্রিয় বন্ধু’ ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের *** আইন ও বিচার বিভাগে পদায়ন বিধিমালা জারি *** এনসিপির অনুরোধে সমাবেশের স্থান পরিবর্তন ছাত্রদলের *** চা-শ্রমিকদের মজুরি বছরে ৫ শতাংশ হারে বাড়বে *** বয়স ১৬ না হলে ইউটিউবে অ্যাকাউন্ট খোলা নিষিদ্ধ করল অস্ট্রেলিয়া *** বলিউড অভিনেতা দীলিপ কুমার ও রাজ কাপুরের পৈতৃক বাড়ি সংস্কার করছে পাকিস্তান *** আগামীকাল খসড়া সনদ রাজনৈতিক দলগুলোকে দেওয়ার আশা করছি: আলী রীয়াজ *** নিউইয়র্কে বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতি উৎসব অনুষ্ঠিত

অক্সিজেন ছাড়া পানির নিচে দীর্ঘ সময়, হ্যানেয়ো নারীদের রহস্যভেদ করল বিজ্ঞান

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১১:২৯ অপরাহ্ন, ১৯শে মে ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু দ্বীপের হ্যানেয়ো নারীরা শত শত বছর ধরে সমুদ্রের তলদেশ থেকে শৈবাল, অ্যাবালোনসহ নানা সামুদ্রিক খাবার সংগ্রহ করে আসছেন। অক্সিজেন ট্যাংক ছাড়া দিনের পর দিন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঠাণ্ডা জলে ডুবে থেকে এ সংগ্রহের কাজ করেন তারা। এবার বিজ্ঞানীরা তাদের শরীরে এমন এক জিনগত পরিবর্তনের সন্ধান পেয়েছেন, যা এ ব্যতিক্রমী সামুদ্রিক জীবনযাপনের পেছনের রহস্য উন্মোচনে সাহায্য করেছে।

সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণা বলছে, হ্যানেয়ো নারীদের ডিএনএ-তে এমন দুটি পরিবর্তন পাওয়া গেছে, যা তাদের ডুবসাঁতারে অনন্য করে তুলেছে। এর মধ্যে একটি পরিবর্তন মূলত ডুব দেওয়ার সময় নারীদের রক্তচাপ কমিয়ে রাখে। এর ফলে গর্ভবতী অবস্থাতেও তারা নিরাপদে ডুব দিতে পারেন। খবর সিএনএনের।

দ্বিতীয় পরিবর্তনটি ঠাণ্ডা থেকে সৃষ্ট যন্ত্রণার সহনশীলতা বাড়ায়। এর ফলে শীতের মৌসুমে যখন জেজু দ্বীপের বাতাস জমে যাওয়ার মতো ঠাণ্ডা থাকে, তখনো তারা অনায়াসে পানিতে নামেন।

গবেষক মেলিসা ইলার্ডো বলেন, ‘আমি ৮০ বছরের হ্যানেয়োদের দেখেছি চলন্ত নৌকা থেকে সরাসরি সাগরে ঝাঁপ দিতে। এটা যেন মানুষের শরীরের সীমা ছাপিয়ে যাওয়া এক ক্ষমতা।’

সম্প্রতি ‘সেল রিপোর্টস’-এ এই সংক্রান্ত গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়, জীবন্ত জলপরি হিসেবে খ্যাত হ্যানেয়ো নারীদের হৃৎস্পন্দনের মাত্রা একেকটি ডাইভে নাটকীয়ভাবে কমে যায়। অভিজ্ঞ ডুবুরিদের ক্ষেত্রে হৃৎস্পন্দনের এ হার মিনিটে প্রায় ৪০ বার পর্যন্ত কমে আসে, যা অক্সিজেন ধরে রাখার একটি চমৎকার কৌশল।

জেজু দ্বীপের স্থানীয় ভাষার সংক্ষিপ্ত রূপও এ ডুবুরি সংস্কৃতির প্রতিফলন বলে মনে করছেন গবেষকরা। পানির ওপরে দ্রুত যোগাযোগ করার প্রয়োজনেই ভাষার রূপ বদলেছে তাদের।

এ গবেষণা শুধু হ্যানেয়োদের বিস্ময়কর জীবনযাত্রার তথ্যই দেয়নি, বরং ভবিষ্যতে উচ্চ রক্তচাপ বা স্ট্রোক প্রতিরোধে নতুন চিকিৎসা আবিষ্কারের সম্ভাবনাও উন্মুক্ত করেছে।

গবেষক ইলার্ডো বলেন, ‘যদি এ জিনগত উপাদানগুলো স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়, তাহলে তা সারা পৃথিবীর মানুষের চিকিৎসায় কাজে লাগতে পারে।’

এইচ.এস/

গবেষণা

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন