বিএনপির লোগো। ছবি: বিএনপির ফেসবুক থেকে নেওয়া
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের প্রশ্নে জনগণের মতামত নেওয়ার জন্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোট আয়োজনের প্রস্তাবকে যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত মনে করছে বিএনপি। দলটির মতে, একই দিনে ভোট হলে সময়, ব্যয় ও প্রশাসনিক ঝামেলা কমবে; একই সঙ্গে সনদের বিষয়ে জনগণের রায়ও স্পষ্ট হবে।
রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গত সোমবার (৬ই অক্টোবর) রাতে দলের স্থায়ী কমিটির নিয়মিত বৈঠকে এ প্রস্তাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
সভায় উপস্থিত নেতারা নীতিগতভাবে একমত হন যে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে জনগণের সম্মতি নেওয়া জরুরি, তবে আলাদা করে গণভোট আয়োজন দেশের জন্য সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল হবে।
স্থায়ী কমিটির একটি সূত্র জানায়, সভায় সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ ঐকমত্য কমিশনের সর্বশেষ বৈঠকের অগ্রগতি তুলে ধরেন। এরপর সভায় নেতারা বলেন, একই দিনে নির্বাচন ও গণভোট আয়োজন করলে দ্বৈত ভোট প্রক্রিয়ায় কোনো বিভ্রান্তি হওয়ার কথা নয়। কারণ, দেশের মানুষ স্থানীয় সরকার, উপজেলা ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনে একাধিক ব্যালটে ভোট দিতে অভ্যস্ত।
তবে কোনো কোনো দলের কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন যে, একই দিনে দুই ধরনের ভোট হলে ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে। কিন্তু অধিকাংশ সদস্যের মত, পৃথক ব্যালট ব্যবহার করলে এ সমস্যা হবে না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটি মনে করে, সরকার চাইলে অধ্যাদেশ জারি করে বা আরপিওতে (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ) সংশোধনী এনে নির্বাচন কমিশনকে গণভোট পরিচালনার ক্ষমতা দিতে পারে। এতে একই দিনে নির্বাচনের পাশাপাশি গণভোটও সম্ভব হবে।
গণভোট আয়োজনের জন্য সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন আছে কি না, এ বিষয়েও সভায় আলোচনা হয়। স্থায়ী কমিটির সদস্যদের অভিমত, গণভোটের সাংবিধানিক ভিত্তি এখনো বহাল রয়েছে। সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদে গণভোটের যে ধারা আওয়ামী লীগ সরকার বাতিল করেছিল, তা হাইকোর্টের রায়ের মধ্য দিয়ে কার্যকর রয়েছে। ফলে গণভোট আয়োজনের ক্ষেত্রে সাংবিধানিক বাধা নেই বলে বিএনপির নেতারা মনে করেন।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন