বৃহস্পতিবার, ৩রা এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৯শে চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** স্বামীকে ইউক্রেনীয় নারীদের ধর্ষণে উৎসাহ, রুশ নারীর কারাদণ্ড *** ঈদের ছুটিতে রাজধানীতে নিরাপত্তার শঙ্কা *** ড. ইউনূসের 'সেভেন সিস্টার্স' নিয়ে বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ *** 'সেভেন সিস্টার্স' নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার মন্তব্যে 'ঝড়' থামছে না ভারতে *** বিমসটেক সম্মেলনে ড. ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদির বৈঠক হচ্ছে *** 'সংখ্যালঘু সদস্য হিসেবে এখন কতটা নিরাপদ' প্রশ্নে যা বললেন দেবপ্রিয় *** ছেলে তারেকের পরিবারের সঙ্গে লন্ডনের পার্কে ঘুরতে বেরিয়েছেন খালেদা জিয়া *** ভারতের বদলে প্রধান উপদেষ্টার প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর চীনে কেন, ব্যাখ্যা দিলেন ড. দেবপ্রিয় *** মরণোত্তর অঙ্গদানে নিবন্ধন করেছেন ৭০ লাখের বেশি চীনা *** ইউনূস-মোদির বৈঠক হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার আপিল শুনানির উদ্যোগ খালেদা জিয়ার

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৩:০৮ অপরাহ্ন, ৩রা নভেম্বর ২০২৪

#

ফাইল ছবি (সংগৃহীত)

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার আপিল শুনানির জন্য পেপারবুক (মামলার বৃত্তান্ত) তৈরি করতে বলেছেন হাইকোর্ট।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (৩রা নভেম্বর) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

পরে কায়সার কামাল গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা এই মামলার আপিল শুনানির উদ্যোগ হিসেবে আদালতে গিয়েছি। এ জন্য আমরা কোর্টের অনুমতি নিয়ে নিজেরা পেপারবুকটা তৈরি (আপিলকারির খরচে) করে আপিল শুনানি করতে পারি, সে আবেদন করেছিলাম। সে আবেদন আদালত মঞ্জুর করেছেন। পেপারবুক প্রস্তুত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও কায়সার কামাল বলেন, এই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের দণ্ড মওকুফ করা হয়েছে। তারপরও আপিল শুনানি কেন? আমরা বলেছি, তিনি (খালেদা জিয়া) আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। রাষ্ট্রপতি মওকুফ করেছেন। সেখানে ক্ষমার কথা আছে। খালেদা জিয়া ক্ষমার প্রতি বিশ্বাসী না। তিনি অপরাধ করেননি। তিনি ক্ষমাও চাননি। তাই এটা আইনগতভাবে মোকাবিলা করতে আইনজীবীদের নির্দেশ দিয়েছেন। সুতরাং, তাড়াতাড়ি পেপারবুক তৈরি করে আপিল শুনানির জন্য আদালতের কাছে নিয়ে আসবো।

২০১৮ সালের ২৯শে অক্টোবর পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের সাত নম্বর কক্ষে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫’র বিচারক মো. আখতারুজ্জামান (বর্তমানে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি) জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সাজা হয়েছে মামলার অপর তিন আসামিরও।

দণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিন আসামি হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। সে সময় হারিছ চৌধুরী পলাতক হন। বাকি আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করেন।

২০১০ সালের ৮ই আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা করা হয়। ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তদন্ত শেষে ২০১২ সালে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। ২০১৪ সালের ১৯শে মার্চ খালেদাসহ চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম শেষ হলে দুদকের পক্ষে এই মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ২০১৮ সালের ১৯শে অক্টোবর রায় ঘোষণা করা হয়।

ওআ/কেবি

খালেদা জিয়া

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন