ছবি : সংগৃহীত
আগামী বছর থেকে যারা সরকারি চাকরিতে যোগ দেবেন, তাদেরকে ‘সর্বজনীন পেনশন’ সুবিধার আওতায় আনা হচ্ছে। এর মানে পেনশনের জন্য নিজেকেই অর্থ জমা করতে হবে। সরকারি চাকরিতে যোগ দিলেই সরাসরি পেনশন পাওয়ার সুবিধা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার আগামী অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব করে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী যে বক্তব্য রেখেছেন, সেখানে এই বিষয়টির উল্লেখ করেছেন তিনি। তবে আগামী অর্থবছর নয়, ২০২৫ সালের জুলাই থেকে এই বিধান চালু হবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, “সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনার ফান্ড পরিচালনা ব্যয় সরকার বহন করায় এবং বিনিয়োগ মুনাফা জমাকারীদের মধ্যে বিভাজন হওয়ায় এটি হবে বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় পেনশন স্কিম।”
মন্ত্রী বলেন, “পেনশন সুবিধা পান এমন সব সরকারি প্রতিষ্ঠানের নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার আওতায় নিয়ে আসা হবে। ইতোমধ্যে স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের এ ব্যবস্থার আওতাভুক্ত করা হয়েছে। অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের আগামী ২০২৫ সালের জুলাই থেকে এ ব্যবস্থার আওতাভুক্ত করা হবে।”
১৮ বছরের বেশি বয়সীদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনা সম্ভব হলে সবাই একটি সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতাভুক্ত হবেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি। গত বছরের ১৭ অগাস্ট সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতায় চারটি স্কিম চালু হয়। এসব স্কিমে মাসে ১ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা জমা করার সুযোগ আছে। যত বেশি বছর টাকা জমা করা হবে পেনশন হবে তত বেশি। ৬০ বছর বয়স থেকে পেনশন পাওয়া যাবে। এই সুবিধা থাকবে আমৃত্যু, তবে তার মৃত্যুর পর নমিনি পেনশন পাবেন তার বয়স সর্বোচ্চ ৭৫ হওয়ার আগ পর্যন্ত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদেরকে এই স্কিমের আওতাভুক্ত করার প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তব্যে শিক্ষকরা সরকারের অবস্থান জানার সুযোগ পেয়েছেন।
আই.কে.জে/