ছবি: সংগৃহীত
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আরও প্রতিযোগিতামূলক বা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতে পারত, কিন্তু বিএনপির কারণে হয়নি। এমন দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এর দায় বিএনপির। তাদের ব্যর্থতার জন্য গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকে অপবাদ দিয়ে কোনো লাভ নেই।
মঙ্গলবার (৩০শে জানুয়ারি) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমেরিকার ওয়াশিংটন থেকে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে একটা প্রতিক্রিয়া ছিল। ঢাকায় কিন্তু তাদের যে রাষ্ট্রদূত, নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন। ইউরোপের অনেক দেশও বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, যে নির্বাচনে ৪১ শতাংশের মতো ভোটার উপস্থিত ছিল, সে নির্বাচনকে পৃথিবীর মানদণ্ডের সঙ্গে তুলনা করে কোনো অবস্থাতেই ভোটারবিহীন নির্বাচন অপবাদ দিতে পারবে না। তবে বিএনপির মতো দলগুলো যদি থাকতো, তাহলে আরও প্রতিযোগিতামূলক হতো। আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতো। সে ত্রুটিটা আমাদের সৃষ্ট নয়। সেটা বিরোধী দল সৃষ্টি করেছে। এখানে সরকারি দলের উপর অপবাদ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই৷
তিনি আরও বলেন, তাদের ব্যর্থতার জন্য গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকে অপবাদ দিয়ে কোনো লাভ নেই। এ ধরনের কর্মসূচি গণতন্ত্রের অভিযাত্রার বিরুদ্ধে একটা ষড়যন্ত্র।
আরও পড়ুন: সরকার উৎখাতের শক্তি কারও নেই: কাদের
ওবায়দুল কাদের বলেন, ত্রুটিমুক্ত গণতন্ত্র কোথাও নেই। আমাদের গণতন্ত্র রাতারাতি ত্রুটিমুক্ত হবে না। বিএনপি যে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে, এটা গণতন্ত্রকে কণ্টকাকীর্ণ করেছিল। যারা নতুন সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তারা কেউ ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন বলেনি।
তিনি বলেন, জনগণের ভোটের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা আজ সংসদে যোগদান করবেন। দেশি বিদেশি বিভিন্নমুখী ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করে নির্বাচন হয়েছে। জনগণের প্রতি আজকের এই দিনে কৃতজ্ঞতা জানাই।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
এসকে/
খবরটি শেয়ার করুন